আন্তর্জাতিক

ইউএস-বাংলা বিমান বিধ্বস্তে নিহত ২৬ জনের মরদেহ ১৯ মার্চ ঢাকায় আনা হবে

নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্স বিধ্বস্তে নিহত ২৬ জনের মরদেহ আগামীকাল সোমবার (১৯ মার্চ) ঢাকায় আনা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।

রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ নেপালে দেয়া এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানায়।

তিনি বলেছে, রোববার বিমান বিধ্বস্তে নিহত আরো ৪ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ২৩ বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা হলো।

এদিকে, কাঠমান্ডু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শাহীন ব্যাপারী ও কবীর হোসেনকে আজ ছাড়পত্র দেয়া হবে। দুপুর দেড়টার দিকে এই দু’জনকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইট কাঠমান্ডু ছাড়ার কথা। এ পর্যন্ত আহত ৫ জনকে দেশে আনা হয়েছে।

কাঠমান্ডুর নৈর্বিক হাসপাতালে থাকা ইয়াকুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আজই দিল্লিতে নিয়ে যাবে তার পরিবার। এদিকে, গুরুতর আহত ইমরানা কবির হাসিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল শনিবার সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে।

বিমান বিধ্বস্তের ষষ্ঠ দিনে ৩৬ জনের মরদেহ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ২১ জন বাংলাদেশি, ‌১ জন চীনের এবং ১৪ জন নেপালি নাগরিক। কাঠমান্ডুতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ সোহেল মাহমুদ অারও জানান, কয়েকটি মরদেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষার প্রয়োজন হবে।

এদিকে, দুর্ঘটনায় আহত রাশেদ রুবাইয়াতকে দেশে আনা হয়েছে শনিবার। তার অবস্থা অন্যদের তুলনায় ভালো।

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের মরদেহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে তারা হল, বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক ফয়সাল আহমেদ, সানজিদা হক বিপাশা, নুরুজ্জামান, বিলকিস আরা, রফিক উজ জামান ও তার ছেলে অনিরুদ্ধ জামান, তাহিরা তানভীন, শশী রেজা, মেহনাজ বিন নাসির, রকিবুল হাসান, মতিউর রহমান, আখতারা বেগম, সরকারি কর্মকর্তা হাসান ইমাম, তামাররা প্রিয়ন্ময়ী, মাহমুদুর রহমান, পাইলট আবিদ সুলতান, সহকারী পাইলট পৃথুলা রশীদ ও ক্রু খাজা সাইফুল্লাহ।

গেলো ১২ই মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হলে ২৬ জন বাংলাদেশিসহ ৫০ জন নিহত হয়। বিমানটিতে ৪ জন ক্রুসহ ৭১জন আরোহী ছিল।

সূত্র: ডিবিসি নিউজ টিভি

Back to top button