জাতীয়

কমলাপুরে দেরিতেই ছাড়ছে ট্রেন

নিউজ ডেস্ক: ঈদ এগিয়ে আসায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘরে ফিরতে উন্মুখ মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনেও কয়েকটি ট্রেন ছেড়েছে দেরিতে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে ২২টি ট্রেন ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক।

তবে চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮টার পরিবর্তে দুপুর সাড়ে ১২টা, লালমনি ঈদ স্পেশাল সকাল সোয়া ৯টার পরিবর্তে দুপুর পৌনে ১২টা এবং রংপুর এক্সপ্রেস সকাল ৯টার পরিবর্তে পৌনে ১১টা ছাড়া সময় নির্ধারিত ছিল।

এসব ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ার বিষয়ে আমিনুল হক বলেন, “ওইসব ট্রেনে যাত্রী চাপ বেশি এবং দূরপাল্লার ট্রেন। ঈদ উপলক্ষে প্রায় সবগুলো স্টেশনে সাধারণ সময়ের চেয়ে ৪/৫ মিনিট দেরি হচ্ছে, কারণ ঈদে যাত্রীর ভিড় আছে, মানবিক কারণেই যাত্রীরা যাতে প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে পারেন, সেই সময়টুকু স্টেশনে স্টেশনে বিলম্ব হয়।”

কাছাকাছি সময়ের ওইসব ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের চাপও বেশি দেখা গেছে।

সবার চোখ মনিটরে, কখন ট্রেন ছাড়বে সবার চোখ মনিটরে, কখন ট্রেন ছাড়বে নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী ঢাকার একটি স্যান্ডেল কারখানার কর্মী আতাউর রহমান জানান, তিনি সকাল ৭টায় স্টেশনে এসেছেন। কিন্তু ট্রেনের বিলম্বের কারণে তাকে অন্তত চার ঘণ্টা স্টেশনে বসে থাকতে হবে।
“গতকাল কারখানা ছুটি হয়েছে। আজ আমরা ১০ জন একসাথে বাড়ি যাচ্ছি। ঈদ এলে বাড়ি যাই, এভাবেই প্রতি বছর ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয়। তারপরও ভাল লাগবে পরিবারের সবার সাথে যদি ঈদ করতে পারি।”

লালমনি ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী দোকানের কর্মী হাফিজুর রহমান বলেন, “আমার ট্রেনের সময় ছিল সকাল সোয়া ৯টা, আমি স্টেশনে ৮টায় এসেছি, কিন্তু ট্রেন লেইট, মনে হয়ে ১২টার আগে ছাড়বে না।”

ঈদযাত্রার শুরুতে গত শুক্রবার রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে সাত ঘণ্টা বিলম্ব করে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। ওই দিনই রেলপথ প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন ট্রেনটি বাতিল করে নতুন একটি ট্রনের মাধ্যমে সূচিতে ফিরিয়ে আনার কথা জানিয়েছিলেন।

এরপর শনিবার ও রোববার রংপুর এক্সপ্রেস যথা সময়ে ছেড়ে গেলেও সোমবার প্রায় দুই ঘণ্টা দেরি হয়।

বাড়ি ফিরতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা বাড়ি ফিরতে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা রংপুর এক্সপ্রসের যাত্রী আব্দুল জলিল বলেন, “শুনলাম রংপুর এক্সপ্রেস এখন নাকি আর দেরি করবে না। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি দুই ঘণ্টা লেইট। এখন স্টেশনে তো বসারই জায়গা নাই। দাঁড়িয়ে থেকে, হেঁটে সময় পার করছি।”
এদিকে বিনা টিকেটে যাতে কোনো যাত্রী ট্রেনে উঠতে না পারে সেজন্য কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলে জানান স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল।

তিনি বলেন, “প্রবেশ পথগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা টিকেট চেক করে যাত্রীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছে। কারও কাছে টিকেট না থাকলে ইমারজেন্সি টিকেট দেওয়া হচ্ছে।”

সোমবার কমলাপুর স্টেশন থেকে ৫৬টি ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে তিনটি ঈদের বিশেষ ট্রেন রয়েছে।

Back to top button