আইন-আদালতআন্তর্জাতিকমতামতসামাজিক গণমাধ্যম

জর্ডানে ধর্ষিতা নারীকে বিয়ে করলে ধর্ষণকারীর সাজা মওকুফের আইন বাতিল

জর্ডানে ধর্ষিত নারীকে বিয়ে করলে ধর্ষণকারীর সাজা মওকুফের বিতর্কিত একটি আইন সরকার বাতিল করে দিয়েছে।

এই আইনটি পাস হওয়ার পর গত কয়েক বছর ধরে নারী অধিকার কর্মীদের দাবি ও আন্দোলনের মধ্যে সরকারের মন্ত্রীসভা রোববার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মুসলিম ও খৃস্টান ধর্মীয় পণ্ডিতরাও ছাড়া বিভিন্ন সংগঠন এই আইনটির সমালোচনা করে আসছিলো।

জর্ডানের পেনাল কোডে এই আইনটি পরিচিত ছিলো আর্টিকেল ৩০৮ হিসেবে।

এই আইনের কারণে ধর্ষিত নারীকে বিয়ে করে ধর্ষণকারী ব্যক্তি কারাদণ্ড এড়াতে পারতো।

এই আইনটির পক্ষে যারা ছিলেন তাদের বক্তব্য ছিলো, ধর্ষিত নারীর সম্মান ও ভাবমূর্তি রক্ষার জন্যেই এটি প্রণয়ন করা হয়েছিলো।

বহু সমালোচনা ও আন্দোলনের পর সরকার গত বছর আইনটিতে কিছুটা পরিবর্তন আনে। সংশোধিত এই আইনের ফলে ধর্ষণকারী শুধু তখনই ধর্ষিত নারীকে বিয়ে করতে পারতো যদি তার বয়স ১৫ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে হয় এবং ধর্ষণের ঘটনাটি যদি তাদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে হয়ে থাকতো। জর্ডানের পেনাল কোডে এই আইনটি পরিচিত ছিলো আর্টিকেল ৩০৮ হিসেবে।

তারপর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ পরিবারের একটি কমিটি পুরো আইনটিকেই বাতিল করার প্রস্তাব দেয়।

জর্ডান টাইমস পত্রিকা বলছে, তখন জর্ডানের প্রখ্যাত নারী ব্যক্তিত্ব লায়লা নাফা একে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “স্বপ্ন সত্য হয়েছে।”

জর্ডানে এই আইনটি বাতিল করা হলেও মধ্যপ্রাচ্যের আরো অনেক দেশে এটি এখনও বহাল রয়েছে।

লেবাননেও রয়েছে এধরনের আইন যেখানে এর প্রতিবাদে নারীরা বহুদিন ধরে আন্দোলন করছেন।

বৈরুতে জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতগুলোতে বিভিন্ন জায়গায় তারা এর প্রতিবাদে বিয়ের পোশাক ঝুলিয়ে রেখেছেন নারী আন্দোলনকারীরা।

তারাও আশা করছেন যে আগামী মে মাসে হয়তো লেবাননেও আইনটি বাতিল ঘোষণা করা হতে পারে।

Back to top button