পাঁচমিশালি

ঝড়বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেল বিপুল পরিমাণ আম আর লিচুর

Image result for আম আর লিচুর

ফাল্গুন মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় দিনই সারা দেশে আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে সদ্য বেড়ে ওঠা লিচু ও আম।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলো। এতে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছে কৃষক ও বাগান মালিকরা।

দিনাজপুরের শিবগঞ্জ উপজেলার কৃষক ও আম বাগান মালিক ইসমাইল খান বলছেন, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ও লিচুর বাগানগুলোয় মৌসুম শুরুর আগেই প্রচুর পরিমাণে মুকুল দেখে তার মতো বাগান মালিক এবং চাষীরা বেশ লাভের আশা করছিলেন।

মৌসুমের আগেই শিলাবৃষ্টিতে ঝরে গেছে অনেক আম।

তবে গত কয়েক সপ্তাহে দফায় দফায় দীর্ঘসময় ধরে শিলা বৃষ্টির কারণে আম ও লিচুর অর্ধেক মুকুল ও গুটি ঝরে গেছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। যে গুটি গাছে আছে তাও পোকামাকড়ের সংক্রমণে নষ্ট হয়ে যাওয়ার শংকায় আছেন তারা।

কৃষিবিভাগের তথ্যমতে দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলায় ছোট বড় বাগান মিলে মোট ১০ হাজার হেক্টর জমিতে প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন আম ও ৫০ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

আর চাপাই নবাবগঞ্জে ২৬ হাজার একর জমিতে আড়াই লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

‘বৃষ্টিপাতের কারণে আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোন সমস্যা হবেনা।’

বৃষ্টিপাতের কারণে ঠিক কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও বৃষ্টির পর ছত্রাকের আক্রমণ থেকে বাঁচতে কিটনাশক ছিটানোর কথা জানান চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম গবেষণা বিজ্ঞানী সরফ উদ্দিন।

তবে তিনি এই বৃষ্টিপাতকে স্বাভাবিক উল্লেখ করে এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোন সমস্যা হবেনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বৃষ্টির পরে বিদ্যমান মুকুল ও গুটি রক্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার কথা জানান রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধি দফতরের উপপরিচালক দেবদুলাল ঢালী।

তবুও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় ইসমাইল খানের মতো কৃষকের উদ্বেগ যেন রয়েই গেছে।

Back to top button