দেশের সংবাদ

ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১৫ হাজার টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা উপজেলার দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১৫ হাজার টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা তেকে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ে আম, লিচু, মরিচ, তামাক, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে প্রায় ৫০ জন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে

ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ি ইউনিয়নের ঠাটারী পাড়া এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী রবিউল আলম ও আবু আহমেদ জানায়, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ করে প্রচণ্ড বাতাস ও আকাশ কালো হয়ে যায়। এর ৫ মিনিটের মধ্যেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। এই শিলাবৃষ্টিতে আমাদের এলাকার অধিকাংশ ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে। শিলার আঘাতে আমাদের এলাকার আজাহার আলী, মমিনুর রহমান, আমিনুর রহমান, মাজিদা, তছিমদ্দিন, সাইফুনসহ অনেকে আহত হয়।

আহত ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা সাইফুন নাহার বলেছে, আমার জীবনে এত শিলাবৃষ্টি দেখি নাই। কোনো কোনো পাথর একটি মিষ্টি কুমড়ার সমান।

কেতকীবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসাদুদ্দৌলা চৌধুরী জানায়, সকালে শিলাবৃষ্টির কবলে আমাদের বিদ্যালয়ের টিনের চালা ফুটো হয়ে ক্লাসের ভিতরে পানি প্রবেশ করে। নিরুপায় হয়ে তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আজকের জন্য ছুটি দেওয়া হয়।

ভোগাডাবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক জানায়, ঝড়সহ শিলাবৃষ্টির কবলে আমার ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলার আঘাতে প্রায় ৫ হাজার টিনের ঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে। এখন বৃষ্টির পানি সরাসরি ঘরের ভেতরে প্রবেশ করছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে পলিথিন দিয়ে তাঁবু বানিয়ে অবস্থান করছে মানুষজন।

কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু বলেছে, আমার ইউনিয়নের প্রায় আড়াই হাজার ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মো. খালেদ রহিম জানায়, ডোমার ও ডিমলা ইউএনও ক্ষতিগ্রস্ত গরিব ও অসহায়দের তাৎক্ষণিক কম্বল, শাড়ি, লুঙ্গি, শুকনো খাবার দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। তালিকা করে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করা হবে।

Back to top button