আন্তর্জাতিক

বিপ্লব বার্ষিকীতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করছে আইআরজিসি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র অ্যারোস্পেস ডিভিশন আজকের বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রা অনুষ্ঠানের সড়কগুলোতে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করেছে।

এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হচ্ছে, দুই হাজার কিলোমিটার পাল্লার ‘ক্বদর’ ক্ষেপণাস্ত্র, সাতশ’ কিলোমিটার পাল্লার ‘কিয়াম’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং আটশ’ কিলোমিটার পাল্লার ‘জুলফিকার’ ক্ষেপণাস্ত্র। এ ছাড়া, ভূমি থেকে ভূমিতে এবং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য আরো বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র, নানা প্রকার সাঁজোয়া যানসহ ইরানের অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তিতে নির্মিত বিভিন্ন সমরাস্ত্র জনগণের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
এর আগে আজ সকাল থেকে ইসলামি বিপ্লবের ৪০তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে সারাদেশে লাখো-কোটি মানুষের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা বের হয়েছে।

স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের এক হাজারেরও বেশি শহর এবং অন্তত ১০ হাজার গ্রামের মানুষ শোভাযাত্রায় অংশ নিতে রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পতাকা হাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘আমেরিকা ধ্বংস হোক’ ‘ইসরাইল নিপাত যাক’ ধ্বনিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারির এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে ইরানি জনগণ ইসলামি প্রজাতন্ত্রের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর প্রতি আনুগত্যের শপথ পুনর্ব্যক্ত করেন।

চলতি বছরের বিপ্লব বার্ষিকীর অনুষ্ঠান প্রচারের দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন দেশি-বিদেশি প্রায় সাড়ে ছয় হাজার সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক ও প্রামাণ্য চিত্র নির্মাতা।এদের মধ্যে বিদেশি সাংবাদিক রয়েছেন ৩০০ জনের বেশি।
রাজধানী তেহরানে বিপ্লব বার্ষিকীর শোভাযাত্রাগুলো ঐতিহাসকি আজাদি স্কয়ারে এসে শেষ হবে। এখানে সমবেত জনসমুদ্রের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য বিশ্বের বহু দেশ থেকে প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, ধর্মীয় নেতা, ক্রীড়াবিদ এবং শিক্ষাবিদরা এরইমধ্যে ইরানে এসে পৌঁছেছেন।

সুএ: পার্সটুডে

Back to top button