‘লিপ রিডিং’ প্রযুক্তির উদ্ভাবন

কথা বলার অন্যতম প্রধান উপদান হলো ঠোঁট ও জিহ্বা। এই দুই প্রতঙ্গের সাহায্যে মানুষ সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে। তবে নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরে মানুষের কথা সঠিকভাবে শোনা যায় না। তবে শ্রবণ অযোগ্য কথাগুলো জানতে এখন আর সমস্যা হবে না বলে দাবি করেছেন একদল ব্রিটিশ গবেষক।

দীর্ঘ গবেষণার পর ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার গবেষকরা জানান, ‘লিপ রিডিং’ বিশেষজ্ঞরা ‘পি’ এবং ‘বি’ এর মতো ধ্বনির মধ্যে তফাৎ করতে পারেন না। কিন্তু নতুন এই প্রযুক্তিতে ‘পি’ এবং ‘বি’ এর ব্যবহার খুব সহজেই ধরা পড়বে।

তারা জানান, মানুষের কথা বলার দৃশ্য যদি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করবে ‘লিপ রিডিং’ প্রযুক্তি। এতে ভিডিওতে ধারণ করা মানুষেরা কী বলছে- তা সহজেই জানা যাবে।

নতুন উদ্ভাবিত ‘লিপ রিডিং’ প্রযুক্তি অপরাধ এবং সন্ত্রাসবাদের মোকাবেলায় খুবই সহায়ক হবে বলে দাবি করেন গবেষকরা।

‘লিপ রিডিং’ বিশেষজ্ঞরা ‘পি’ এবং ‘বি’ এর মতো ধ্বনির মধ্যে তফাৎ করতে পারেন না। কিন্তু এখন থেকে এই দুই বর্ণের উচ্চারণ নির্ধারণ আর কোনো সমস্যা হবে না। ‘পি’ এবং ‘বি’ এর ব্যবহার খুব সহজেই ধরা পড়বে লিপ রিডিং প্রযুক্তির সাহায্যে।

গবেষকরা বলেন, শুধু অপরাধ দমন নয়; লিপ রিডিং প্রযুক্তি সাংবাদিকদের কাজেও অনেক সহযোগিতা করবে। যারা ‘সেলিব্রেটিদের’ খবরের পেছনে ঘুরেন অর্থাৎ পাপারাজ্জি হিসেবে নিয়োজিত, তাদের জন্য এই প্রযুক্তি হবে এক গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উদ্ভাবনেও এই প্রযু্ক্তি সহায়ক হবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা।