দেশের সংবাদ

হাতিরঝিলের বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙতে আবেদন আগামী ২৭ মার্চ আদেশ

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) হাতিরঝিলের বহুতল ভবনটি ভাঙতে সময় আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২৭ মার্চ আদেশের দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ রোববার রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য এ দিন ধার্য করে। আপিল বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হল- বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।

আদালতে বিজিএমইএর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

শুনানিতে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে বিজিএমইএ’র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকি বলে, মৃত্যুদণ্ডের আসামিও শেষ আবেদন করে থাকে। আমরাও শেষ সুযোগ চাচ্ছি। এরপর আদালত আদেশের জন্য ২৭ মার্চ দিন ঠিক করে।

এর আগে গত ৫ মার্চ বহুতল ভবনটি ভাঙতে আরো এক বছর সময় চেয়ে আবেদন করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ৮ এপ্রিল বিজিএমইএর বহুতল ভবনটি ভাঙতে সাত মাস সময় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। আদেশে আদালত বলেছিল, এটাই শেষ সুযোগ। আর সময় দেয়া হবে না।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ভবন ভাঙতে আদালতের দেয়া নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই সময় চেয়ে আবেদন করলো বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত বছরের ৫ মার্চ আপিল বিভাগ বিজিএমইএ ভবন অবিলম্বে ভেঙে ফেলতে রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) করা আবেদন খারিজ করে দেয়। তখন ভবন ভাঙতে কত দিন সময় লাগবে, তা জানিয়ে আবেদন করতে বলে। বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ ভবন সরাতে তিন বছর সময় চেয়ে আবেদন করে। ১২ মার্চ আপিল বিভাগ আবেদন নিষ্পত্তি করে ছয় মাস সময় দেয় ভবন সরাতে।

২০১৬ সালের ২ জুন বিজিএমইএর করা লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যায় আপিল বিভাগে। ওই বছরের ৮ নভেম্বর রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের পূর্ব পাশে অবস্থিত বিজিএমইএর ১৬তলা ভবনটি অবিলম্বে সংগঠনের নিজ খরচায় ভেঙ্গে ফেলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে ৮ ডিসেম্বর রিভিউ আবেদন করে বিজিএমইএ।

এর আগে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্টের রায়ে বিজিএমইএ ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ দেয়া হয়। রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ। এই লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় ঘোষণা করে আপিল বিভাগ।

পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়, ‘বেগুনবাড়ি খাল’ ও ‘হাতিরঝিল’ জলাভূমিতে অবস্থিত ‘বিজিএমইএ কমপ্লেক্স’ নামের ভবনটি নিজ খরচে অবিলম্বে ভাঙতে আবেদনকারীকে (বিজিএমইএ) নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে। এতে ব্যর্থ হলে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হলো। এ ক্ষেত্রে ভবন ভাঙ্গার খরচ আবেদনকারীর (বিজিএমইএ) কাছ থেকে আদায় করবে তারা।

Back to top button