৯/১১ হামলার ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সৌদি আরবকে

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ভয়াবহতম ৯/১১ হামলার ঘটনায় বিচারের মুখোমুখি হতে হবে সৌদি আরবকে। নিউইয়র্কের এক বিচারক গতকাল বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে।

নিউ ইয়র্কের টুইন টাওয়ারে হামলার ঘটনায় শতকোটি ডলার ক্ষতিপূরণের দাবিতে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে করা একটি মামলা চলমান রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ওই বিচারক।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ বছর আগে বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া ওই হামলায় সৌদি সরকারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়, যদিও দেশটি তা অস্বীকার করে আসছে।

এ মামলার অভিযোগ থেকে নিজেদের অব্যাহতির জন্য আদালতে আবেদন করেছিল সৌদি আরব। কিন্তু বুধবার ম্যানহাটন ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক জর্জ ডেনিয়েলস ওই আবেদন খারিজ করে দেয়।

বিচারক জর্জ ড্যানিয়েলস বলেছে, ২০১৬ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটির যুক্তিসঙ্গত ভিত্তি আছে বলেই মনে করে তিনি।

সৌদি আরব ওই হামলায় সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছে। তবে হামলাকারী ১৯ জনের মধ্যে ১৫ জনই ছিলেন সৌদি নাগরিক।

২০০১ সালে নাইন ইলেভেনের ওই হামলায় বিমান অপহরণকারীদের অধিকাংশই যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিল সৌদি আরব থেকে এবং বারবার এমন সন্দেহ করা হয়েছে যে, তাদের সঙ্গে সৌদি সরকারের একটি সংশ্লিষ্টতা ছিল।

ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আর ওয়াশিংটনের পেন্টাগনে চালানো আত্মঘাতী হামলায় প্রায় তিন হাজার ব্যক্তি নিহত হয়েছিল।

দুটি বিমান আঘাত হেনেছিল টুইন টাওয়ারে, একটি পেন্টাগন আর চতুর্থ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল পেনসিলভানিয়ার শ্যাংকসভিলে।

এর পর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ তার ভাষায় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের শুরু করে। গত ১০ বছরেসন্ত্রাস দমনের নামে আফগানিস্তান ও ইরাকে দুটি যুদ্ধ পরিচালনা করছে যুক্তরাষ্ট্র যার রেশ এখনও কাটেনি।

ওই আক্রমণের জন্য আল কায়েদাকে দায়ী করা হয় এবং আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেন পরে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে মার্কিন সেনাদের এক গোপন অভিযানে নিহত হয়।