আন্তর্জাতিক

উত্তর প্রদেশে পুলিশের পিটুনিতে মুসলিম যুবক নিহত

Image result for উত্তর প্রদেশ

ভারতের বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগে পুলিশের পিটুনিতে মুহাম্মদ সেলিম কুরেশি নামে এক মুসলিম যুবক নিহত হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের বেরেলি জেলার ওই ঘটনায় পুলিশের এক কর্মকর্তা ও দু’জন কনস্টেবলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।নিহত গোশত ব্যবসায়ী সেলিম কুরেশির পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পুলিশের ডিজি’র কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ডিজি’র নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

সেলিম কুরেশির স্ত্রীর অভিযোগ, গত ১৪ জুন কঙ্কারটোলা থানার কর্মকর্তার নির্দেশে হরিশ চন্দ্র ও শ্রীপাল সিং নামে দুজন কনস্টেবল সেলিম কুরেশির খোঁজে তাদের  বাসায় আসে। তারা জানায় সেলিমের বিরুদ্ধে গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগ থাকায় তাকে থানায় যেতে হবে। কিন্তু ওই অভিযোগ অস্বীকার করলে পুলিশ তাকে এক বেসরকারি বিয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করে। এরফলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস’ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে আট দিনের মাথায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মারা যান।

সম্প্রতি গরু জবাইয়ের গুজব রটনা করে উত্তর প্রদেশের হাপুড়ে কথিত গো-রক্ষকদের গণপিটুনিতে মুহাম্মদ কাশিম নামে এক মুসলিম যুবক নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় মুহাম্মদ সামীউদ্দিন (৬০) নামে এক বৃদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেই ঘটনার জের না মিটতেই ফের উত্তর প্রদেশে গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগকে কেন্দ্র করে হত্যার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। তবে এবার স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের পরিবর্তে পুলিশের বিরুদ্ধেই পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ‘সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান আজ (শনিবার) রেডিও তেহরানকে বলেন, “উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে মুহাম্মদ সেলিম নামে এক ব্যক্তিকে গরুর গোশত বিক্রির অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থায় তাকে যেভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। মোদি ও যোগির শাসনে মুসলিমদের উপরে এই নির্যাতন কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। আমরা দোষী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে যাতে আগামীদিনে পুলিশ যারা রক্ষক, সেই আইনের রক্ষকরা যাতে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে এ ধরণের নির্যাতনের ঘটনা দ্বিতীয়বার না ঘটাতে পারে।”

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুসারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রুজু হয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

Back to top button