বিজিপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনছে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী
ভারতের বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে তেলেগু দেশম পার্টি (টিডিপি)। তেলুগু দেশম পার্টির প্রধান ও অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশনে অনাস্থা প্রস্তাব আনার জন্য দলীয় এমপিদের নির্দেশ দিয়েছেন।
চন্দ্রবাবু নাইডু ইতোমধ্যেই বিজেপিবিরোধী লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তার দাবি, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এলেই অন্ধ্রপ্রদেশকে ‘বিশেষ স্বীকৃতি’ দেয়া হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতার আসার পরে কেন্দ্রীয় সরকার ওই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি।
বারবার ওই দাবি তোলা হলেও কেন্দ্রীয় সরকার তাতে কান না দেয়ায় গত বছর মার্চে এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে টিডিপি।
গত বাজেট অধিবেশনেও টিডিপি সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। কিন্তু সংসদে বিভিন্ন ইস্যুতে তুমুল হট্টগোলের জেরে ওই প্রস্তাব গৃহীত হয়নি। টিডিপি আবারও অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকার ও বিরোধীদের অবস্থান পরখ করতে চাচ্ছে।
টিডিপি’র ওই অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হলে ভোটাভুটির সময় সরকার ও বিরোধী পক্ষের সামনেই তা রীতিমত চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। জোটশরিকদের বিশেষ করে সরকারের সমালোচক শিবসেনাকে পাশে পাওয়া সরকার পক্ষের কাছে চ্যালেঞ্জ।
অন্যদিকে, মোদিবিরোধী জোট কতখানি ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাও চ্যালেঞ্জের বিষয়। কারণ, পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস এখনো তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি। দলটির মুখপাত্র ডেরেক ও. ব্রায়েন বলেছেন, সংসদীয় দলের বৈঠকই তাদের ভূমিকা স্পষ্ট হবে। ডেরেক অবশ্য আশার কথা শুনিয়ে যারা বিজেপি বিরোধিতা করবে, তৃণমূল তাদের সঙ্গে থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
বিজেপি, জোটশরিক ও নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকা বিরোধীদলের সঙ্গে সংযোগ বাড়িয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বিজেপির এককশক্তি কমে ২৭৩ হয়েছে, যা গরিষ্ঠতার থেকে মাত্র একটি বেশি। এক্ষেত্রে কয়েকজন বিজেপি এমপি ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত হলেই লোকসভায় বিজেপির গরিষ্ঠতা থাকবে না। আগামী ১৮ জুলাই সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন শুরু হবে। চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত।