বিবিধ
বুদ্ধি বাড়ানোর খাবার
- বিট : মস্তিষ্কের বিকাশে বিট অনন্য। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার ওয়েক ফরেস্ট ইউনিভার্সিটির কয়েকজন গবেষকের মতে, বিটে উপস্থিত প্রাকৃতিক নাইট্রেট মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে বেড়ে যায় মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা।
- হলুদ : মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে খাবারে একটু হলুদ নিয়মিত মেশান। হলুদে উপস্থিত থাকা মস্তিষ্কের নানা গোলযোগ সারিয়ে তুলতে ভালো কাজে দেয়। এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণের কারণে আলঝেইমার্সের চিকিৎসায় খুব ভালো কাজ করে এই হলুদ। স্মৃতিশক্তি তাজা করে তুলতে বা অবসাদ রোগ সারিয়ে তুলতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এ ছাড়া সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গেছে যে অ্যালকোহলজনিত মস্তিষ্কের গোলমালে হলুদ একটি দারুণ ওষুধ।
- ডিম : অ্যামাইনো এসিড আর প্রোটিনে ঠাসা ডিম মস্তিষ্কের শক্তি ও সঞ্চালন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে করে। কাজে মনোযোগ এনে দেয়। ভিটামিন ‘বি’ কমপ্লেক্স আর ভিটামিন ‘ডি’তে ভরপুর ডিম। মস্তিষ্কের বিকাশ ও সঞ্চালনে এদের ভূমিকাও অনস্বীকার্য।
- হাড়ের নির্যাস : কম আঁচে হাড় সিদ্ধ করার পর যে নির্যাস তৈরি হয় তাতে প্রচুর গ্লাইসিন নামের অ্যামাইনো এসিড থাকে। গ্লাইসিন দুশ্চিন্তা কমায়। একাধিক সমীক্ষা বলছে যে এটি ঘুমের জন্যও ভালো। এমনকি দিবানিদ্রার হার কমিয়ে মস্তিষ্কের সঞ্চালনেও এর ভূমিকা আছে।
- ব্রকলি : মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এমন দুটি উপাদান আছে ব্রকলিতে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ সাহায্য করে কিছু শেখা, মনে রাখা, বিবেচনা করা ইত্যাদিতে। এর আরেকটি উপাদান কোলিন সাহায্য করে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে। কাজেই ব্রকলি আপনার মস্তিষ্কের উন্নতির জন্য একটি উপকারী খাবার।
- ডার্ক চকোলেট : এতে আছে টেট্রাহাইড্রো কারবিনল নামের নিউরো ট্রান্সমিটার, যা মনকে সজাগ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে। ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত ফিনাইল মিথাইল অ্যামিন নামের উপাদানকে আবার ‘লাভ’ ড্রাগও বলে। কারণ এটি শরীরে ঢুকলে প্রেমে পড়ার অনুভূতি এনে দেয়। নানা উপাদানে সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, অনেকক্ষণ ধরে একাগ্র থাকা ও সমস্যা সমাধানের চিন্তাশক্তি বাড়ায়।
- সবুজ শাকসবজি : হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের কিছু গবেষকের একটি সমীক্ষায় জানা গেছে যে পালং, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি ইত্যাদি নিয়মিত খেলে মস্তিষ্কের নানা সমস্যা অনেকটা কমে যায়। শাকসবজি ইত্যাদিতে উপস্থিত নানা ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ মস্তিষ্কের জন্য ভালো।
- কাজু বাদাম : আমন্ড কাজু বাদামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রাইবোফ্ল্যাবিন এবং এল-কারনিটাইন থাকে। এই দুই উপাদান মস্তিষ্কের কাজকে সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ু সম্পর্কিত নানা রোগ প্রতিহত করতে সাহায্য করে এই বাদাম।
- ডালজাতীয় শস্য : ডালজাতীয় শস্য যেমন বিনস, মটরশুঁটি, মুগ-মসুর ডালসহ যেকোনো ডাল ইত্যাদিকে বোঝায়। এগুলোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড থাকে। গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের শস্য খুবই উপকারী উপাদান। এতে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক ভালোভাবে গঠিত হতে পারে এবং স্নায়ুর কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধান করতে পারে।