
ঢাকা: শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষা এখন অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে।
বুধবার (১৮ মে) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের একথা বলেন।
‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’র আলোকে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত রাখার কথা বলা হয়েছে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে আমরা সবাই একমত, অবিলম্বে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সব ধারার শিক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে হস্তান্তর করবো।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে এখন সারসংক্ষেপ পাঠানো হবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা পরিচালনা করবে। কীভাবে পরিচালনা করবে তা ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। সেক্ষেত্রে আমরা সবাই সহযোগিতা করবো। এজন্য কারিকুলাম, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোসহ প্রয়োজনীয় কাজ করবে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
‘এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ’ জানিয়ে নাহিদ বলেন, কাজটা আমরা করতে পারবো। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কেও অনেক কাজ করতে হবে। পাশাপাশি উচ্চ শিক্ষা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত নিতে অনেক কাজ করতে হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয় ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
শিক্ষানীতির আলোকে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত হওয়ার কথা, ইতোমধ্যে প্রায় ছয়শ’ স্কুলে অষ্টম শ্রেণি উন্নীত করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত হলো আজকের তারিখে। নতুন অর্থবছরের শুরুর আগে এটা দৃশ্যমান হবে যে আমরা কার্যক্রমে হাত দিয়েছি।
অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করতে অনেক সমস্যা রয়েছে জানিয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রী বলেন, সরকারের যে যে দপ্তরের অনুমোদন প্রয়োজন সেটা সম্পূর্ণ করে যত তড়িৎ আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবো।
‘মাদ্রাসা হোক, বেসরকারি পর্যায়ে যেখানে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের সুযোগ আছে তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাবে, এজন্য আমাদের কাছে পরামর্শ নিতে পারবেন।’
শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দকী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, শিক্ষাবিদ এবং দুই মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অনুপস্থিত কমিটির সদস্য শিক্ষাবিদ ড. জাফর ইকবাল একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়।