পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার প্রথম জুমুয়াহ শরীফ রাত্রি অর্থাৎ ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ উনার মর্যাদা পবিত্র লাইলাতুল বরাত, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উনাদের চেয়েও অনেক বেশি
সম্মানিত হাম্বলী মাযহাব উনার ইমাম হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার ফতওয়া দিলেন, ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ উনার মার্যাদা পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর, পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনার চেয়েও অনেক বেশি। তখন সে যামানার আলিম-উলামাগণ উনারা এই ফতওয়া শুনে চিন্তিত হয়ে গেলেন। হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে আলিম-উলামাগণ ও এলাকার লোকজন গেলে তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে তো মহান আল্লাহ পাক তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি যদি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সৃষ্টি না করতেন তাহলে আসমান, যমীন, লৌহ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর, পবিত্র লাইলাতুল বরাত সৃষ্টি করতেন না। তাহলে যাঁর জন্যে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর, পবিত্র লাইলাতুল বরাত সৃষ্টি সেই নবী ও রসূল, রহমতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে রাত্রি মুবারকে উনার সম্মানিতা আম্মা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে তাশরীফ আনলেন সে রাত্রের মর্যাদা কেন পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর বা পবিত্র লাইলাতুল বরাত উনাদের চেয়ে বেশি হবে না? তখন আলিম-উলামা সকলেই পবিত্র ‘পবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ’ শরীফ উনার মর্যাদা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।
মূলত, যাঁর জন্যে সকল কিছু সৃষ্টি, যাঁর জন্য পবিত্র লাইলাতুল বরাত, পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর সৃষ্টি হলো সেই আখিরী নবী, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বরকতময় রাত্রে উনার সম্মানিতা আম্মা আলাইহাস সালাম উনার খিদমত মুবারকে তাশরীফ আনলেন সেই রাত্রের মর্যাদা সর্বাধিক হওয়াই স্বাভাবিক।