আন্তর্জাতিক

সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজাচ্ছেন এরদোগান

অভ্যুত্থান ব্যর্থ হলেও আবারও এমন তৎপরতার শঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেননি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।

তবে তা মোটেই সহজ হবে না, কারণ প্রশাসনের নজরদারী এখন অনেক জোড়ালো। গোয়েন্দা তথ্যের শূন্যতা আর ঘাটতিও লক্ষ্যণীয়, যা গোপন বা অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই বলেও জানান এরদোগান। আর এসব বিবেচনায় পুরো সশস্ত্র বাহিনীতেই আমূল পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটি।

বিদ্যমান জরুরি অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে শুদ্ধি অভিযান চালানোর বিষয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগের মধ্যেই সেনাবাহিনীকে ঢেলে সাজানোর কথা বললেন এরদোগান।

অভ্যুত্থানের সময় আক্রান্ত আঙ্কারার প্রাসাদ থেকে প্রেসিডেন্ট রয়টার্সকে বলেন, সর্বোচ্চ সামরিক পরিষদ, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যার মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাহিনী প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর পুনর্গঠন ও তত্ত্বাবধান করবে।

“কি করা যায় সে বিষয়ে তারা সবাই একসাথে কাজ করছে। খুব কম সময়ের মধ্যেই নতুন কাঠামোর উদ্ভব হবে। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনী নতুনদের পাবে।”

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জবাবে তুরস্কের কার্যক্রমে চলে আসা সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে দেশটির বিচারমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তিতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা আটকাতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) চাপের কাছে তুরস্ক নত হবে না।

ওই অভ্যুত্থানের জন্য যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করছে তুরস্ক। তার সমর্থক লোকজন এবং সংস্থাগুলোর বিষয়ে জানাতে প্রবাসী নাগরিকদের প্রতি তুরস্কের আহ্বানের কথা শুক্রবার জানায় সুইডিশ রেডিও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button