আইন-আদালত

“মাঝিড়া সমাজ ও যুব উন্নয়ন সংস্থা” নামে এক এনজিও’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ, বগুড়া

আত্মসাৎ এর ছবি ফলাফল

বগুড়ার শাজাহানপুরে বারুনিঘাট এলাকায় মাঝিড়া সমাজ ও যুব উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে গ্রাহকদের কাছথেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (১ জানুয়ারি) পাওনা টাকার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

তারা জানান, কয়েকমাস আগে সজল মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি শাজাহানপুর উপজেলার বারুনিঘাট এলাকায় মাঝিড়া সমাজ ও যুব উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালু করে। সে সময় তিনি দুই বছরে পরিশোধের জন্য ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সদস্য ভর্তি করেন। গত পাঁচ মাসে এসব সদস্যরা ২ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় করেন। তবে এই পাঁচ মাসে কাউকে ঋণ দেওয়া হয়নি। এমনকি ফেরত চাওয়ার পর সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেননি। অধিকাংশ সদস্যের জমা বইও সংস্থার অফিসে রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এভাবে বেশ কয়েক লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সজল।

সাথী, শাপলা, ফাতেমা, শিরিন  নামের কয়েকজন গৃহবধূরা জানান, তাদের অনেকেই স্বামীকে না জানিয়ে টাকা সঞ্চয় করেছিলেন। এখন তারা জানতে পারায় তা নিয়ে সংসারে অশান্তি দেখা দিয়েছে। অনুরোধ করার পরও সজল মাহমুদ তাদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। বাধ্য হয়ে তারা বৃহস্পতিবার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানে কয়েকজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হলেও এখনও কাউকে বেতন দেওয়া হয়নি। এমনকি জামানতের টাকাও ফেরত দেওয়া হয়নি কাউকেই। প্রতিষ্ঠানের মাঠকর্মী নাজমুল বলেন, ‘প্রতি মাসে ৭ হাজার টাকা বেতন ধরে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। চাকরির জন্য তিনি ৮ হাজার টাকা জামানত দিয়েছেন। অনেকে ১০ হাজার টাকা জামানত দিয়েও এই চাকরিতে ঢুকেছেন। মাঝে-মধ্যে দুয়েকশ’ টাকা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে বেতন বা জামানতে র টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষের কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে। তবে তাদের ঋণ বা সঞ্চয় ফেরত দেওয়া হয়নি। এখন এসব মানুষ অফিসে এসে মালিককে না পেয়ে কর্মচারীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা করছেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মাঝিড়া সমাজ ও যুব উন্নয়ন সংস্থা প্রধান সজল মাহমুদ বলেন, ‘কারও সঞ্চয় ও কর্মচারীদের জামানতের টাকা আত্মসাত করা হয়নি। সমস্যার কারণে টাকাগুলো ফেরত দিতে পারছি না। তবে শিগগিরই গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ কামরুজ্জামান অভিযোগটি পাওয়ার পর বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Back to top button