অর্থ-বাণিজ্য

প্যারাডাইস পেপার্সে নাম আসা ২০ জন বাংলাদেশির তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে দুদক

প্যারাডাইস পেপার্স নতুন করে নাম আসা ২০ জন বাংলাদেশির বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। করস্বর্গ হিসেবে পরিচিত দেশগুলোতে গোপনে টাকা লগ্নিকারী হিসেবে তাদের নাম তালিকায় আসে।

অল্প করের বিনিময়ে অর্থ রাখার সুযোগ করে দেয়া দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ ইউরোপের দ্বীপ রাষ্ট্র মাল্টা অন্যতম। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া প্যারাডাইস পেপারস এর নথি অনুযায়ী, আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরসহ ২০ জন বাংলাদেশি দেশটিতে অফশোর কোম্পানি খুলেছে।

এর আগে ফাঁস হওয়া পানামা, প্যারাডাইস, অফশোর লিকস মিলে এখন পর্যন্ত এ তালিকায় এসেছে ৮৯ বাংলাদেশির নাম। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংগঠন আইসিআইজের সর্বশেষ তালিকায় মুসা ছাড়াও রয়েছে ফজলে এলাহী চৌধুরী, কে এইচ আসাদুল ইসলাম, জুলফিকার আহমেদ, তাজুল ইসলাম, মোহাম্মদ মালেকসহ ২০ বাংলাদেশির ঠিকানাসহ প্রকাশ করা হয়েছে। ঠিকানা অনুযায়ী এখন এসব বাংলাদেশিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।

তথ্য সংগ্রহের সঙ্গে ব্যক্তির ওপর বাড়ানো হয়েছে নজরদারিও। দুদকের সচিব ড. শামসুল আরেফিন জানায়, দেশ থেকে অবৈধভাবে বিদেশে অর্থ পাঠানোর প্রমাণ পাওয়া মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবশ্য এর আগে পানামা, অফশোর ও প্যারাডাইস পেপারসে যাদের নাম এসেছিলো তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান খুব বেশি না এগুনোর কারণ ব্যাখ্যা করেছে দুদকের সচিব।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ মনে করে, অর্থপাচারে তদন্তকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় অর্থপাচার বাড়ছে বলে মনে করে অর্থনীতির এই বিশ্লেষক।

Back to top button