বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তৈরি হচ্ছে হাজার বর্ষী ঘড়ি

মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই ১০ হাজার বছর চলবে এমন ঘড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস-এ।

১০ হাজার বর্ষী এই ঘড়িটি তৈরি করছে ‘লং নাও ফাউন্ডেশন’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থা। ‘দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাকে সাধারণ’ বিষয় করে তোলার লক্ষ্যেই কাজ করে থাকে সংস্থাটি, বলা হয়েছে বিবিসি’র প্রতিবেদনে।

১৯৯৫ সালে ওয়্যারড প্রকাশনার একটি প্রবন্ধে প্রথম এই ঘড়িটির কথা জানায় নির্মাতা মার্কিন উদ্ভাবক ড্যানি হিলস। এতে ড্যানি বলে ঘড়িটির একটি কাঁটা প্রতিবছর একবার নড়বে। আর শতবর্ষী একটি কাঁটা ১০০ বছরে একবার নড়বে এবং প্রতি ১০০০ বছরে একটি কোকিল বের হবে।

টেক্সাসে অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোসের জমিতেই তৈরি হচ্ছে ঘড়িটি। বেজোস নিজেও দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাধারায় বিশ্বাস করে। এই প্রকল্পের সবচেয়ে বড় আর্থিক সহায়তাকারীও ড্যানি। এতে ৪.২ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করছে বেজোস।

লং নাও ফাইন্ডেশন জানায়, ঘড়িটি তাপমাত্রার পরিবর্তন থেকে শক্তি সঞ্চয় করবে। তবে সময় দেখানোর মতো যথেষ্ট শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে না ঘড়িটি। দর্শনার্থীরা হাত দিয়ে একটি হুইল ঘোরালেই কেবল এটি সময় দেখাতে পারবে।

কবে নাগাদ ১০ হাজার বর্ষী এই ঘড়ি তৈরির কাজ শেষ হবে এখনও তা জানায়নি সংস্থাটি।

মঙ্গলবার মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ঘড়ি তৈরির একটি ভিডিও শেয়ার করেছে বেজোস। ঘড়িটি ৫০০ ফুট উঁচু হবে বলে জানিয়েছে বেজোস।

১০ হাজার বর্ষী এই ঘড়ির জন্য একটি মেকানিকাল মেলোডি জেনারেটর বানিয়েছে জনপ্রিয় ব্রিটিশ মিউজিশিয়ান ব্রায়ান ইনো। ১০ হাজার বছর ধরে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন সুর বাজাবে জেনারেটরটি। ঘড়ির কাঁটার মতো এই জেনারেটরটিও চলবে দর্শনার্থীদের শক্তিতে।

১৯৯৯ সালে এই ঘড়ির প্রটোটাইপ তৈরির কাজ শেষ হয়। বর্তমানে লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামে রাখা আছে প্রটোটাইপটি।

Back to top button