জাতীয়

অর্থমন্ত্রী মনে হয় পাটের কোনো জিনিস পছন্দ করেন না: বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দেওয়ার পরও গত দুই বছরে বহুমুখী পাটপণ্যকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। সে জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।

প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছে, ‘মাননীয় অর্থমন্ত্রী, তিনি পাটের প্রতি একটু বিরূপ। পাটের কোনো জিনিস মনে হয় তিনি মানসিকভাবে পছন্দ করে না। সে জন্য তাঁর কর্মকর্তারাও পাটের বহুমুখী পণ্যকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিভিন্ন টালবাহানা করছে।’

রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আজ সোমবার ‘পাটের উন্নয়ন: গণমাধ্যমের ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এসব কথা বলেছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে সেমিনারটি আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করে ইআরএফ সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল।

পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেছে, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল বেসরকারিকরণের নামে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। দেশের বৃহত্তম পাটকল আদমজী জুট মিলস বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে খালেদা জিয়া বন্ধ করে দেয়। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিদায়েও অর্থ দিয়েছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু একই সময় ভারতে পাটকল স্থাপনের জন্য অর্থ দেয় বিশ্বব্যাংক। আদমজী জুট মিল বন্ধ করা ছিল বিশ্বব্যাংকের চক্রান্ত।’

মির্জা আজম আরও বলেছে, ‘বিশ্বব্যাংকের কিছু প্রেতাত্মা অর্থ মন্ত্রণালয়ে বসে আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে বহুমুখীকরণ পাটপণ্যকে প্রক্রিয়াজাত কৃষিজাত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্দেশনা দেয়। সেই ফাইল গত দুই বছর ধরে টেবিলে টেবিলে ঘুরছে। আমি মন্ত্রী হয়েও টেবিলে টেবিলে ঘুরি। আমাদের মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা আছে, যিনি সার্বক্ষণিকভাবে এই দায়িত্ব পালন করে। ফাইলটি বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় ঘুরতে ঘুরতেই দুই বছর চলে গেছে।’

সেমিনারে আরও বক্তব্য দেয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক রীনা পারভীন, ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

Back to top button