আন্তর্জাতিক

ইসরাইলকে রুখতে ৫০ লাখ সদস্যের শক্তিশালী ইসলামী আর্মি গঠন করবে তুরস্ক

ইসরাইলকে রুখতে ৫৭টি মুসলিম দেশকে একত্র করে একটি বিশাল ইসলামি সেনাবাহিনী গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক। তুর্কি একটি সংবাদপত্র রিপোর্টে প্রকাশ করেছে যে, ৫০ লাখ সদস্যের শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করা হবে। এটি ‘আর্মি অব ইসলাম’ বা ‘ইসলামি আর্মি’ নামে অভিহিত করা হবে।

ইসরাইলি আক্রমণ প্রতিরোধ করাসহ বিভিন্ন ইসলামি সঙ্কটে ইসলামি আর্মি যাতে অভিযান চালাতে পারে তার জন্য এই ধরনের বিশাল সেনাবাহিনী গঠনে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার ৫৭টি সদস্য দেশের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ওআইসি সদস্য দেশগুলোর জনসংখ্যা ১৬৭ কোটির বেশি। এসব দেশের মধ্যে সক্রিয় সামরিক বাহিনীর সদস্য ৫২ লাখেরও বেশি এবং তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট ১৭ হাজার ৪৭০ কোটি ডলার।

অন্য দিকে, ইসরাইলের মোট জনসংখ্যা ৮০ লাখ ৪৯ হাজার ৩১৪ জন এবং এর সক্রিয় সামরিক বাহিনীর সদস্য মাত্র এক লাখ ৬০ হাজার জন এবং প্রতিরক্ষা বাজেট এক হাজার ৫৬০ কোটি ডলার। পরিসংখ্যান বলছে, যদি ওআইসি সদস্য দেশ ‘ইসলামি আর্মি’ গঠন করতে সম্মত হয়, তবে এটা দখলদার ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

ইসরাইলকে আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি যথাযথ আচরণের আহ্বান

রয়টার্স

আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি যথাযথ আচরণ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্র্রিটেন। শিশু বয়সে ইসরাইলি সেনাসদস্যকে লাথি ও চড় মারার জন্য পরিচিতি পাওয়া ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমিকে গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করার পর এখন তাকে কারাদণ্ড দেয়ার মুখে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে। তামিমির মতো আরো কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি শিশু আটক আছে ইসরাইলের হাতে।

ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির হাতে আটক থাকা এসব শিশুর সাথে করণীয় নির্ধারণে ইসরাইলের অনেক অগ্রগতি করার সুযোগ রয়েছে। শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী অ্যালিস্টেয়ার বার্ট বলেছেন, ‘তামিমিকে দোষী সাব্যস্ত করা ও তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করার বিষয়টিই তুলে ধরে, নতুন প্রজন্মের একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার বদলে বিভক্তির দিকে চলে যাওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্কের অনিশ্চিয়তা বাড়িয়ে দেবে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে আটক থাকা ফিলিস্তিনি শিশুদের সাথে কেমন ব্যবহার করা হচ্ছে তা ব্রিটেনের কাছে অনেক বড় মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রসঙ্গ। আমরা ইসরাইলকে আহ্বান জানাতে থাকব, যেন তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং বাধ্যবাধকতা মেনে কাজ করে।’ বার্টের মতে, ব্রিটেন এ বিষয়ে ইসরাইলকে সহায়তা করতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে কথা বলেছে। ইসরাইল কিছু বিষয়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু এখনো তাদের অনেক পরিবর্তন করার বাকি আছে। তামিমির পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী জানিয়েছেন, তাকে আট মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

গত ডিসেম্বরে আটক হওয়ার সময়ে তামিমির বয়স ছিল ১৬ বছর। ইসরাইলি সেনাসদস্যকে লাথি ও চড় মারার ওই ঘটনা ঘটেছিল তামিমির শৈশবকালে তার বাসস্থান নবী সালেহ গ্রামে। ঘটনার সময়ে তামিমির মা তা ধারণ করে সরাসরি ইন্টারনেটে সম্প্রচার করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে সবার নজরে আসে ঘটনাটি। পশ্চিমতীরে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে গ্রামটিতে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিল ইসরাইলের সেনাসদস্যরা। দখলকৃত জমিতে অবৈধ বসতি স্থাপন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সম্পর্কের সবচেয়ে তিক্ত বিষয়গুলোর একটি।

মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তামিমির গ্রেফতারির বিষয়ে বলেছে, ওই গ্রেফতার আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ এবং তা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকারের বিষয়ে পরোয়া করে না। মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রায় ৩৫০ ফিলিস্তিনি শিশু এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হাতে আটক রয়েছে।

আটক ফিলিস্তিনি শিশুদের প্রতি যথাযথ আচরণ করতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ব্র্রিটেন। শিশু বয়সে ইসরাইলি সেনাসদস্যকে লাথি ও চড় মারার জন্য পরিচিতি পাওয়া ফিলিস্তিনি কিশোরী আহেদ তামিমিকে গত ডিসেম্বরে গ্রেফতার করার পর এখন তাকে কারাদণ্ড দেয়ার মুখে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে। তামিমির মতো আরো কয়েক শ’ ফিলিস্তিনি শিশু আটক আছে ইসরাইলের হাতে।
ব্রিটেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশটির হাতে আটক থাকা এসব শিশুর সাথে করণীয় নির্ধারণে ইসরাইলের অনেক অগ্রগতি করার সুযোগ রয়েছে। শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে ব্রিটেনের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মন্ত্রী অ্যালিস্টেয়ার বার্ট বলেছেন, ‘তামিমিকে দোষী সাব্যস্ত করা ও তার জন্য শাস্তি নির্ধারণ করার বিষয়টিই তুলে ধরে, নতুন প্রজন্মের একসাথে শান্তিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার বদলে বিভক্তির দিকে চলে যাওয়া ইসরাইল-ফিলিস্তিন সম্পর্কের অনিশ্চিয়তা বাড়িয়ে দেবে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে আটক থাকা ফিলিস্তিনি শিশুদের সাথে কেমন ব্যবহার করা হচ্ছে তা ব্রিটেনের কাছে অনেক বড় মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রসঙ্গ। আমরা ইসরাইলকে আহ্বান জানাতে থাকব, যেন তারা আন্তর্জাতিক আইন এবং বাধ্যবাধকতা মেনে কাজ করে।’ বার্টের মতে, ব্রিটেন এ বিষয়ে ইসরাইলকে সহায়তা করতে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে কথা বলেছে। ইসরাইল কিছু বিষয়ে সংস্কার বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু এখনো তাদের অনেক পরিবর্তন করার বাকি আছে। তামিমির পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী জানিয়েছেন, তাকে আট মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
গত ডিসেম্বরে আটক হওয়ার সময়ে তামিমির বয়স ছিল ১৬ বছর। ইসরাইলি সেনাসদস্যকে লাথি ও চড় মারার ওই ঘটনা ঘটেছিল তামিমির শৈশবকালে তার বাসস্থান নবী সালেহ গ্রামে। ঘটনার সময়ে তামিমির মা তা ধারণ করে সরাসরি ইন্টারনেটে সম্প্রচার করে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে সবার নজরে আসে ঘটনাটি। পশ্চিমতীরে ইসরাইলের অবৈধ দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে গ্রামটিতে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিল ইসরাইলের সেনাসদস্যরা। দখলকৃত জমিতে অবৈধ বসতি স্থাপন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সম্পর্কের সবচেয়ে তিক্ত বিষয়গুলোর একটি।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তামিমির গ্রেফতারির বিষয়ে বলেছে, ওই গ্রেফতার আন্তর্জাতিক আইন বিরুদ্ধ এবং তা স্পষ্ট করে দিয়েছে, ইসরাইল ফিলিস্তিনি শিশুদের অধিকারের বিষয়ে পরোয়া করে না। মানবাধিকার সংগঠনটি জানিয়েছে, প্রায় ৩৫০ ফিলিস্তিনি শিশু এখন পর্যন্ত ইসরাইলের হাতে আটক রয়েছে।

Back to top button