পার্বত্য চট্রগ্রাম

এডভোকেট শক্তিমান চাকমার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে মানববন্ধন

Image result for রাঙামাটি জেলা

রাঙামাটিতে দুই দিনে উপর্যুপরি হামলায় দুই শীর্ষ নেতাসহ ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনায় এখনো বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। পাহাড়ে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলনরত পাহাড়িদের সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) কেন্দ্রীয় কমিটি শনিবার এক বিবৃতিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে।

দাবি আদায়ে কর্মীদের অবিচল থাকারও আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি। রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে গতকাল আদালতের সামনে মানববন্ধন করে রাঙামাটি জেলা আইনজীবী সমিতি। এদিকে বাঙালিদের একাধিক সংগঠন পৃথক দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় সক্রিয় রয়েছে। রাঙামাটিতে আজ ও আগামীকাল হরতাল কর্মসূচি রয়েছে। তবে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে তা স্থগিত করা হয়েছে।

জেএসএস (এম এন লারমা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) আহ্বায়ক তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মাসহ পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় উদ্বিগ্ন স্থানীয় সুধীসমাজ। সাধারণ মানুষ ভয় করছে নতুন সহিংসতার।

রাঙামাটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চলের আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, রাঙামাটির প্রবীণ সাংবাদিক সুনীল কান্তি দে, রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ মুসা মাতবর, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি হাজি মো. শাহ আলমসহ অনেকেই সহিংস পরিস্থিতিতে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছেন। তাঁরা বলেন, অস্ত্র দিয়ে জীবননাশ হবে, দাবি আদায় হবে না।

ইউপিডিএফ কেন্দ্রীয় কমিটি বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তারা নিরপরাধ কাউকে হয়রানি না করতেও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটির প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ইউপিডিএফকে দায়ী করে ভাবাবেগতাড়িত বক্তব্য যেন কেউ না দেয়।

এদিকে খাগড়াছড়িতে ডাকা পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের চলমান ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি গতকাল প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রশাসনের আশ্বাসে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। বান্দরবানেও কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে আজ ও আগামীকাল রাঙামাটিতে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ ও পার্বত্য নাগরিক পরিষদের হরতাল কর্মসূচি রয়েছে।

খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার বাসিন্দা অপহূত তিন বাঙালি যুবককে জীবিত উদ্ধার, ৫ মে রাঙামাটিতে সশস্ত্র হামলায় নিহত মাইক্রোবাসচালক সজীব হাওলাদারের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি এবং জনসংহতি সমিতি, ইউপিডিএফসহ পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠনগুলোর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে বাঙালি সংগঠনগুলো এসব কর্মসূচি দিচ্ছে।

Back to top button