জাতীয়

বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ঋণ শোধ হবে ২০৩৪ সালে: সংসদে সেতুমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:সংসদে সেতুমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর ওই সেতুর টোল বাবদ এ পর্যন্ত আদায় হয়েছে চার হাজার ৯৮৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ফলে নির্মাণ ব্যয়ের তুলনায় টোল থেকে এক হাজার ২৪১ কোটি ৮৯ লাট টাকা বেশি আদায় হয়েছে। সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়েছেন। এই সেতু নির্মাণে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ পরিশোধ ২০৩৪ সালে শেষ হবে বলেও মন্ত্রী জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সোমবার বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি দলের মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ব্যয় হয়েছে তিন হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অন্যদিকে এ পর্যন্ত (ডিসেম্বর ২০১৮) এ সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে চার হাজার ৯৮৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। এ অর্থ থেকে সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়সহ সেতু কর্তৃপক্ষের অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় নির্বাহের পর সেতু নির্বাহে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর ঋণ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। তবে, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে যাওয়ায় Amortization Schedule অনুযায়ী উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো থেকে গৃহীত ঋণ সেতুর আদায়কৃত টোলের মাধ্যমে ২০৩৪ সাল নাগাদ পরিশোধ সম্পন্ন হবে।’

মন্ত্রীর তথ্যমতে, সেতু নির্মাণের পর প্রথম বছরে টোল থেকে আদায় হয়েছিল ৯৯ লাখ টাকা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আদায় হয়েছে ৫৪৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং এই অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আদায় হয়েছে ২৮৪ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ১৯ শতাংশ। এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের নেগোসিয়েশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর সমীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এটি ঢাকার যানজট নিরসনে নতুন মাত্রা সংযোজন করবে।’
রেলমন্ত্রী জানান, ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণে মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।

মন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ভায়া কুমিল্লা/লাকসাম দ্রুতগতির রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও নকশা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ২১ শতাংশ। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বিরতিহীনভাবে ৫৭ মিনিটে এবং বিরতি দিয়ে ৬৯ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত এক লাখ ৮ হাজার ৬১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলওয়ের ৮১টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

Back to top button