বিবিধ

ত্বক ও চুলের যত্ন

ত্বক ও রূপ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ এক হয় না। তবে কিছু সাধারণ পরিচর্যা রয়েছে যা ত্বক ও চুলের জন্য সর্বজন সমাদৃত।একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভারতীয় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. | সাউমিয়া শেঠি হেজ, ডা, গীতা কাজালভয় এবং ভা, মনিকা জ্যাকবের দেয়া পরামর্শ অনুসারে ত্বক ও চুলের যত্ন নেয়ার কয়েকটি কৌশল এখানে দেয়া হলো । লেবু ও টমেটো: মুখ ধোয়ার পরে তাজা লেবু ও টমেটোর রস লাগিয়ে নিন। ১০১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবুতে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড যা ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে। পিএইচ ত্বকের ক্ষারীয় অবস্থা নির্দেশ করে। টমেটোর রস। ত্বক মসৃণ রাখে।

দইয়ের ছোঁয়া :

ত্বক শুষ্ক হলে ত্বকের পিএইচের মাত্রা কমানো জরুরি। সমপরিমাণ টক দই ও মধু এবং সামান্য কলা মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। টক দইয়ের ভিটামিন সি, জিঙ্ক এবং ক্যালসিয়াম প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের যত্ন নেয় । কলাতে আছে ল্যাক্টিন নামক প্রটিন যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ডালিম;

Related Articles

এক টেবিল-চামচ মধু ও ডালিমের রস মিলিয়ে। ফেস প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি গোলাপ জলের সঙ্গে মিশিয়ে মুখ ও গলায় মালিশ করুন, ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ডালিম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা অ্যান্টি-এইজিং ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। প্রাবোয়োটিক যুক্ত দই এই প্যাকের সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান এবং পাঁচ মিনিট পর তা ধুয়ে

অ্যালোভেরা জেল :

তাজা অ্যালোভেরা জেল ঠাণ্ডা, প্রদাহরোধী উপাদান সমৃদ্ধ যা। ফুসকুড়ি, শুষ্ক ও অস্বস্তিকর ত্বকের জন্য উপকারী। এটা সব ধরনের ত্বকের সঙ্গে মানানসই। টক দইয়ের সঙ্গে চন্দনকাঠ মিশিয়ে ফেস মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। এটা রোদে পোড়াভাব, ব্রণ এবং ত্বকের জ্বালা ভাব থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে। তাজা হলুদ ত্বকের যে কোনো ধরনের সমস্যা ও ফুসকড়ি থেকে রক্ষা পেতে সাহায্য করে।

চুলের যত্ন :

সুন্দর চুলের জন্য জলপাই অথবা নারিকেল তেল গোসলের ৪৫ মিনিট আগে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে কালো চা দিয়ে সব শেষে চুল ধুয়ে নিতে পারেন, এতে উজ্জ্বলতা দীর্ঘস্থায়ী হয়। বাড়তি উজ্জ্বলতার জন্য অ্যাপল সাইডার ভিনিগারের সঙ্গে জলপাইয়ের তেল ও ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে চুলে লাগান। ৪৫ মিনিট পর ভালােভাবে পরিষ্কার করে নিন। চাইলে সালফার সমৃদ্ধ পেঁয়াজের রস মাথার ত্বকের লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর চুল ধুয়ে নিন, এতে চুল পড়া কমবে।

Back to top button