আন্তর্জাতিক

আবরও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অবৈধ বসতি স্থাপন করল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে গত ১০ বছরে প্রায় ২০ হাজার অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মেয়াদকালে এসব অবৈধ স্থাপনা তৈরি হয়েছে। অবৈধ বসতি স্থাপনবিরোধী পর্যবেক্ষক সংস্থা পিস নাউ-এর বার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধু ২০১৮ সালেই ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দুই হাজার ১০০ নতুন অবৈধ ইহুদি বসতি নির্মাণ শুরু হয়। এর আগে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বছরে গড় এক হাজার ৯৩৫টি অবৈধ বসতি নির্মাণ করা হতো।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ইসরায়েলের অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন প্রক্রিয়ার গতি বেড়েছে।

ফিলিস্তিনিদের নিজেদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয় না। পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধভাবে নির্মিত ১০০টিরও বেশি বসতিতে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ ইসরায়েলি বসবাস করে। এই দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনতার প্রতিরোধকে সন্ত্রাসবাদ আখ্যা দিয়ে আসছে সন্ত্রাসী ইসরায়েল।

পশ্চিম তীরের বাইরে গাজা উপত্যকা ও জেরুজালেমেও বাড়ছে অবৈধ বসতি নির্মাণ। সেখানকার স্থানীয় আরবদের ভবন তৈরির অনুমতি না দিলেও অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হয় না। ফলে সেখানেও বাড়ছে দখলদারদের সংখ্যা। পিস নাউ জানিয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ‍যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার দেড় বছরের মধ্যে পশ্চিম তীরে ১৪ হাজার ৪৫৪টি অবৈধ বসতির অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল।

সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স।

Back to top button