জাপার যৌথসভায় যোগ দেয়নি রওশন এরশাদ

নিউজ ডেস্ক : জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় যোগ দেননি দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ। সভায় তার যোগ না দেয়ার বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার এ যৌথসভা শুরু হয়। সভায় সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ ২৯ জন নেতা অংশ নিয়েছেন। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে এসেছেন সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সালমা ইসলাম।

জাপার সংসদ সদস্যের মধ্যে এসেছেন আদেলুর রহমান আদেল, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রুস্তম আলী ফরাজী, শরীফুল ইসলাম জিন্নাহ, লিয়াকত হোসেন খোকা। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার, রওশন আরা মান্নানও যোগ দেন এ সভায়।

দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, নাসরিন জাহান রত্না, ফখরুল ইমাম ও সেলিম ওসমানের মতো সিনিয়র নেতাসহ জাপার প্রেসিডিয়ামের অনেক সদস্যকেই দেখা যায়নি এ যৌথ সভায়।

প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে এসেছেন শেখ সিরাজুল ইসলাম, সৈয়দ আব্দুল মান্নান, লোটন শিকদার, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, হাফিজ উদ্দিন, ইমরান হোসেন মিয়া, সোলায়মান আলম শেঠ, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, কাজী মামুনুর রশীদ, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আব্দুস সাত্তার মিয়া, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফয়সাল আল মুনির, এম এ কাশেম, আজম খান, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, মিজানুর রহমান, সৈয়দ দিদার বখত।

জ্যেষ্ঠ ও তরুণ নেতা মিলিয়ে জাপায় ৫০ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য রয়েছেন সভায়।

জি এম কাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই জাতীয় পার্টির প্রথম যৌথ সভা। জাপার সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করা, জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে দায়িত্ব বণ্টন নিয়ে সভায় আলোচনা হয় বলে জানান জাপার উপ দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান।

তিনি জানান, আট বিভাগে ৮টি দল তৈরি করে তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে করণীয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে।

আগামী ২৪ জুন থেকে ২৭ জুন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির বিভাগীয় বর্ধিত সভা হবে। এরমধ্যে ২৪ জুন ঢাকা ও ময়মনসিংহ, ২৫ জুন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ, ২৬ জুন চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ এবং ২৭ জুন খুলনা ও বরিশাল বিভাগের বর্ধিত সভা হবে।