অর্থ-বাণিজ্যপ্রবাস

‘প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগ করা উচিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমেরিকা বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এবং সেন্টার ফর এন আরবির উদ্যোগে ‘ইউএনজিএ সাইডলাইন বিজনেস সেমিনার ২০১৯ : ইউএস-বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট : রোল অব বাংলাদেশি আমেরিকানস’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের মেধা ও অর্থ বিনিয়োগের বিভিন্ন দিক আলোচনা করেন। তারা বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ে উন্নীত করতে চায় এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে, সেহেতু এটি বাস্তবায়নের কাজ ত্বরান্বিত করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগ করা উচিত।

প্রচলিত রেমিট্যান্সপ্রবাহের বাইরেও মেধাভিত্তিক রেমিট্যান্সের ব্যাপারে ভাবার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন তারা। দেশে বিনিয়োগ করলে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের কী কী সুবিধা রয়েছে সেমিনারে তাও তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনার পাশাপাশি সেন্টার ফর এনআরবির পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী। প্রবাসীদের প্রতি সরকারের আরও যতœশীল হওয়া প্রয়োজন বলে ইঙ্গিত করেন তিনি।

এম এস সেকিল চৌধুরী বলেন, ১৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্সপ্রবাহের দেশ এখন বাংলাদেশ। এখনই প্রবাসীদের দেশভিত্তিক স্বীকৃতির উদ্যোগ নেয়া উচিত। যারা দেশের অর্থনীতির শিরা-উপশিরায় রক্তপ্রবাহ করছে তাদের কিছু পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ছে। এখানে বিনিয়োগের মুনাফা অন্য দেশের তুলনায় বেশি। বাংলাদেশকে কেবল সাহায্যের জন্যই নয় বরং বেশি মুনাফার জন্যও নতুন বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসতে পারে। বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে চলছে। তাই দেশের ইতিবাচক প্রচারে সকলের অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

‘বাংলাদেশে মঙ্গা নেই’ মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশ উন্নয়নের সোপানে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ এখন সত্যিকার অর্থেই খাদ্যে স্বনির্ভর।

প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশের দিকে ফিরে তাকান। বর্তমান পৃথিবী বাণিজ্য যুদ্ধের পৃথিবী। এ সময়ে বাণিজ্যে দেশকে এগিয়ে রাখতে কাজ করুন। দেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবাসীদের সরকারি সহায়তারও আশ্বাস দেন মন্ত্রী।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসার পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে বিক্রি হওয়া সম্পত্তির টাকা কোথায় যাচ্ছে? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এভাবে মুদ্রা স্থানান্তর আসলে মুদ্রা পাচারের সামিল। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানা উচিত। বিদেশে বাংলাদেশের বিনিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হওয়া সময়ের দাবি।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, দেশ বর্তমানে পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ হচ্ছে বাংলাদেশে। এর ৫২ বিলিয়নই বেসরকারি খাত থেকে এসেছে। বেসরকারি খাতকে বিশেষ করে রফতানিমুখী উন্নয়নকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। আশা করি দ্রুতই বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫০০০ মার্কিন ডলার ছাড়াবে।

Back to top button