লকডাউনের কারণে নতুন করে শ্রম ঝুঁকিতে বহু শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক: লকডাউনের কারণে নতুন করে কয়েক লাখ শিশু শ্রম কাজে নিযুক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। গত দুই দশকের মধ্যে শিশুশ্রমের সংখ্যা উল্লেখজনকভাবে কমিয়ে আনা সম্ভব হলেও এবার প্রথমবারের মতো তা বাড়তে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আগে থেকেই যেসব শিশু শ্রমকাজে নিযুক্ত রয়েছে, তাদেরও কর্মঘণ্টা বেড়ে যেতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ের পরিস্থিতি বিচেনায় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ২০০০ সাল থেকে শিশু শ্রমের সংখ্যা ৯ কোটি ৪০ লাখে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে লকডাউনের কারণে সে অর্জন এখন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। লকডাউনের ফলে এ বছরেই ৬ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়তে পারে বলে এরইমধ্যে এক জরিপে তথ্য প্রকাশ পেয়েছে।
তারা আরও বলেন, দারিদ্র্য বাড়লে শিশুশ্রমও বাড়বে। কারণ বেঁচে থাকার জন্য পরিবারগুলো সম্ভাব্য সব উপায়ে চেষ্টা করবে। বিভিন্ন দেশের গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, দারিদ্র্য এক শতাংশ বাড়লে শিশুশ্রম অন্তত দশমিক ৭ শতাংশ বাড়বে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় দেশে শিশু শ্রম বেড়ে যাওয়ার আলামত এরইমধ্যে পাওয়া গেছে। লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। স্কুল চালু হলেও কিছু পরিবার তার শিশুসন্তানের শিক্ষার খরচ মেটাতে পারবে না। আর সেকারণে তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যেহেতু লকডাউনের কারণে দারিদ্র্য বেড়েছে, স্কুল বন্ধ এবং সামাজিক সেবার সুযোগ হ্রাস পেয়েছে, তাই আরও বেশি শিশুদের কাজের দিকে ঠেলে দেওয়া হতে পারে।
লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে যেসব শিশু মা-বাবার একজনকে অথবা দুইজনকেই হারিয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশি শ্রমঝুঁকিতে রয়েছে। মেয়ে শিশুদের অনেকে জীবিকার তাগিদে কৃষিকাজ ও গৃহস্থালীর কাজে যুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।