বিশ্বযুদ্ধের জন্যরাশিয়ার নাগরিক মহড়া !


সিরিয়া নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজক পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর হামলা চালাতে পারে বলে দেশটির কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সিরিয়ায় বোমাবর্ষণকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো সময় রাশিয়ায় আক্রমণ চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে দেশটি। আর সে জন্য নিজেদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নিতে দেশটির নাগরিকদের সতর্কও করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটেনের গণমাধ্যম ডেইলি স্টার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্ত্রীরা ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছেন, যেকোনো ধরনের আক্রমণ থেকে বাঁচতে তাঁরা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছেন। সেখানে মস্কোর এক কোটি ২০ লাখ মানুষকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব হবে।

এ ছাড়া আজ মঙ্গলবার থেকে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত চার দিন রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া। দেশটির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে। যুগান্তকারী এই কার্যক্রমে যোগ দিচ্ছেন দুই লাখের বেশি উদ্ধারকারী দলের সদস্য, সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা।

মহড়ায় অংশ নেবেন কেন্দ্রীয় সরকার, আঞ্চলিক প্রশাসক, স্থানীয় সরকার ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীও।

রাশিয়ার জরুরি অবস্থাবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ মহড়ার আয়োজন করেছে। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত বিশাল পরিসরে মহড়ার আয়োজন করা হলো।

গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশন চ্যানেলে বলা হয়, মস্কোকে আক্রমণ করার জন্য পরমাণু অস্ত্র প্রস্তুত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাশ কার্টার পেন্টাগনকে বলেন, রাশিয়া নজিরবিহীনভাবে ভয়াবহ পরমাণু অস্ত্রশক্তির প্রয়োগ করতে পারে।

এ বক্তব্যের পরই নড়েচড়ে বসে রাশিয়া। আর জারি করে সতর্কবার্তা। নতুন অস্ত্র তৈরি, ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার এবং নতুন নতুন সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা শুরু করে দিয়েছে তারা।

বিশ্বে পরমাণু অস্ত্রের সবচেয়ে বড় মজুদ রয়েছে রাশিয়ার, যার সংখ্যা সাত হাজার ৩০০। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অস্ত্রের সংখ্যা ছয় হাজার ৯৭০।