অর্থ-বাণিজ্য

কম দামে পাট কিনতে ষড়যন্ত্র করছে মিল মালিকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পানির দামে পাট কিনতে মিল মালিকরা সরকারকে দিয়ে রফতানি বন্ধ করানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছে রফতানিকারকরা।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন ও শিপার্স কাউন্সিল সংবাদ সম্মেলনে জানায়, সরকারি মিল বন্ধ হওয়ায় এমনিতেই কমে গেছে ১৩ লাখ বেল কাঁচাপাটের চাহিদা। এমন অবস্থায় রফতানি বন্ধ বা শুল্ক আরোপের ফলে নষ্ট হবে অব্যবহৃত পাট। এর ফলে দাম না পেয়ে কৃষক পাট চাষ বন্ধ করে দেবে বলেও মত তাদের।

কিছুদিন আগেই বন্ধ হয়েছে সরকারি সব পাটকল। ঘুরছে না কোনো কারখানার চাকা। ব্যবহার না থাকায় কমপক্ষে ১৩ লাখ বেল কাঁচাপাটের চাহিদা কমেছে জানিয়ে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের দাবি, রফতানি না হলে নষ্ট হবে এসব পাট, দাম কমে নামবে তলানিতে। ক্ষতির মুখে তো বটেই আগামী বছর থেকে পাট চাষেও আগ্রহ হারাবে কৃষক।

এর উল্টো হিসাব জমা দিয়ে সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পাট রফতানির উপর শুল্ক আরোপ ও রফতানি বন্ধের সুপারিশ করে আবেদন জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেই সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন ও শিপার্স কাউন্সিল।

লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৮৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪ বার রফতানি বন্ধের কারণে প্রয়োজনীয় কাঁচাপাটের অভাবে বিদেশের অনেক জুটমিল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আমাদের বৈদেশিক বাজার ২৮-৩০ লাখ বেল থেকে নেমে দাঁড়ায় ৮০৯ লাখ বেলে। নতুন করে রফতানি শুল্ক আরোপ হরে আমাদের এখন যতোটুকু কাঁচাপাটের আন্তর্জাতিক বাজার আছে তাও থাকবে না।’

ভুল তথ্য দিয়ে সরকারকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে তারা বলেন, রফতানি বন্ধ করে পানির দামে পাট কেনার ষড়যন্ত্র করছেন মিল মালিকরা। বাংলাদেশ পাট চাষি সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান বলেন, ন্যায্যমূল্য না পেলে পাটচাষ বন্ধ হয়ে যাবে। যে বছর পাটের দাম ভালো থাকে, সে বছর চাষিরা বেশি চাষ করে। শিপার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, পুরোটা ব্যবহার করতে না পারায় রফতানি হচ্ছে। যে পর্যন্ত পুরো পাট ব্যবহার উপযোগী না করা যায়, সে পর্যন্ত পাট রফতানি চালু থাকা দরকার।

Back to top button