জাতীয়

ফের অবরোধে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের

বরিশাল সংবাদাদাতা: পূর্বঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে ফের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা। অবরোধের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন বরিশালসহ, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও কুয়াকাটাগামী যাত্রীরা।

গতকাল শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টার কিছু সময় পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূলফটকের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বিকেল ৫ টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে তাদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করেনি। আবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহতরা হামলাকারীদের নামের তালিকা দিলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে মামলা না করে অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। যা শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখান করেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
এদিকে, মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলার শিকার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে বরিশাল সদর সংসদ সদস্য পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। জুমুয়াবার দুপুরে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন ১১ জন শিক্ষার্থীর সঙ্গে দেখা করেন তারা।

আমিন উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সারাদেশে নিন্দার ঝড় উঠেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু অদ্ভুতভাবে একটি পক্ষ হামলার জড়িতদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলেও আহতরা জানিয়েছেন। ’

ছাত্রলীগ নেতা মাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বিষয়টি সুরাহা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। ’

এরআগে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭ টা থেকে পরবর্তী ১০ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন বিকেলে মঙ্গলবারের রাতের হামলার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করা দ্রুত আইনের আওতায় আনা এবং অনাবাসিক সব শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা নেওয়ার তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন শিক্ষার্থীরা। এসব দাবি আদায়ে জুমুয়াবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে ছিলেন তারা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ৭ দিনের সময় চেয়েছিলেন।

Back to top button