জাতীয়

আপাতত পানির দাম বাড়াচ্ছে না ওয়াসা

নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ঢাকা ওয়াসা। মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বোর্ড সভায় পাঁচ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়ানোর জন্য ওয়াসা যে প্রস্তাব ছিল তা বোর্ড সভায় উত্থাপনও করা হয়েছিল।

কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশির ভাগ বোর্ড সদস্যরা পানির দাম না বাড়ানোর পক্ষ মত দিয়েছেন। যে কারণে পানির দাম বাড়ানোর ওয়াসার যে প্রস্তাবনা ছিল তা থেকে সরে আসতে হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওয়াসার এক কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ভার্চুয়ালি ওয়াসার বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার আলোচ্য সূচিতে পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয় ছিল। সে অনুযায়ী পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হলে বোর্ডের অন্য সদস্যরা করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পানির দাম না বাড়ানোর পক্ষে মত দেয়। ফলে পানির দাম না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ওয়াসা।

বিভিন্ন সময় পানির দাম বাড়িয়ে বর্তমানে আবাসিক গ্রাহককে প্রতি ইউনিট অর্থাৎ এক হাজার লিটার পানির দাম ১৪ টাকা ৪৬ পয়সা। পাশাপাশি বাণিজ্যিক সংযোগের জন্য গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে ৪০ টাকা করে। যা পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে দাম নির্ধারণের প্রস্তাব করেছিল ঢাকা ওয়াসা। করোনা শুরুর দিকে গত বছরের এপ্রিলেও এক দফা পানির দাম বাড়িয়েছিল ঢাকা ওয়াসা। সে সময় প্রতি ইউনিটে দাম বাড়ানো হয়েছিল ২ টাকা ৮৯ পয়সা।

ওয়াসা বলছে, ঢাকা ওয়াসার এক হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২৫ থেকে ২৮ টাকা। তাই পানির মূল্য বৃদ্ধি প্রয়োজন। এছাড়া মূল্যস্ফীতি সমন্বয় করতেও মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। ওয়াসা আইন ১৯৯৬ এর ২২(২) ধারা অনুযায়ী ওয়াসা বোর্ড অনধিক পাঁচ শতাংশ হারে পানি ও পয়ঃঅভিকর সমন্বয় করতে পারে।

ওয়াসার পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিষয়ে সাধারণ নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ গনমাধ্যমকে জানিয়েছিলো, ওয়াসা আইন ১৯৯৬ অনুযায়ী, বাৎসরিক সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানোর বিধান রয়েছে। কিন্তু করোনাকালে এমনিতেই অসহায় অবস্থায় আছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যে পানির দাম বাড়ানোর জন্য ওয়াসার এমন প্রস্তাব করা আসলেই অমানবিক। এতে করে করোনাকালে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়ত। পরিচালন ব্যয়, ঘাটতি ও ঋণ পরিশোধের অজুহাতে আবাসিক এবং বাণিজ্যিক খাতে ঢাকা ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব অযৌক্তিক, গ্রাহকের ওপর এক ধরনের চাপিয়ে দেওয়া নির্যাতনমূলক সিদ্ধান্ত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Back to top button