পাঁচমিশালি

সাড়ে তিন মাসের বাছুর দুই লাখে বিক্রি

চুয়াডাঙ্গা সংবাদাদাতা: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সাড়ে তিন মাস বয়সী একটি গরুর বাছুর বিক্রি হয়েছে দুই লাখ টাকায়। এতো দামে নেপালি জাতের বাছুরটি বিক্রি করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন উপজেলার বয়রা গ্রামের লাল্টু মল্লিক। তিনি বয়রা গ্রামের জিয়ারত মল্লিকের ছেলে। বাছুরটি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।

তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টু মল্লিক বলেন, আমি একজন চাষি। চাষের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন-পালন করে আসছি। গত ২০ বছর ধরে নেপালি জাতের গাভী লালন পালন করে আসছে আমার পরিবার। গাভীটি সাড়ে তিন মাস আগে একটি এঁড়ে বাছুর প্রসব করে। এটি গাভীটির তিন নম্বর বাছুর। বর্তমানে বাছুরটির বয়স সাড়ে তিন মাস। গত শনিবার বাছুরটি দুই লাখ টাকায় বিক্রি করেছি।

বাছুরটি কিনেছেন পার্শ্ববর্তী চাঁদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম। বাছুরটি বর্তমানে মায়ের দুধ পান করছে। এ কারণে বাছুরটি এক মাস পর নিয়ে যাবেন ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম।

ওই এলাকার শিক্ষক হাসমত আলী বলেন, বয়রা গ্রামের লাল্টু মল্লিক কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু পালন করেন। তার পালন করা নেপালি জাতের গাভীটি সম্প্রতি একটি এঁড়ে বাছুর প্রসব করে। গাভীটি দেখতে খুবই সুন্দর। এক পর্যায়ে বাছুরটি নজর কাড়ে চাঁদপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বাছুরটি দুই লাখ টাকায় কিনে নিয়েছেন।
বাছুরটির ক্রেতা চাঁদপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বাছুরটি দেখতে খুব চমৎকার। আমার খুব পছন্দ হয়েছে। বিদেশি জাতের হওয়ায় বাছুরটি বেশি দামে কিনেছি।
তিনি আরও বলেন, বাছুরটি এখনও মায়ের দুধ খাচ্ছে। তাই বিক্রেতা লাল্টুর খামার থেকে কিছুদিন পর বাড়ি নিয়ে আসবো বাছুরটি।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মশিউর রহমান বলেন, তরুণ উদ্যোক্তা লাল্টুর সাফল্যের কথা আমি শুনেছি। খামার উন্নয়নে তাকে সহযোগিতা করা হবে। তার মতো যে কেউ গরুর খামার করতে চাইলে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

Back to top button