শিক্ষা

রোজায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে গুজব: কঠোর নজরদারিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রোজার মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করায় ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে বেশ কিছু শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। অনেক শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। যে কারণে কঠোর নজরদারির মধ্যে আনা হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা জারির পর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনও গুজব, সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা এবং সরকারি নির্দেশনা যথাযথভাবে না মানলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, রমাদ্বান শরীফ মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষকরা পোস্ট দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনও কর্মকর্তা এক্ষেত্রে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। জেলা ও উপজেলা কমিটি শিক্ষকদের ফেসবুক এবং তাদের কর্মকা- মনিটরিং করবেন। মনিটরিংয়ের পর অবহেলা বা অভিযোগ উঠে এলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিরাজগঞ্জ জেলাধীন উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম তোতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারি আদেশের বিরোধিতা করে পোস্ট দেন। গত ৩০ মার্চ বিভাগীয় উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এদিকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ে ঠিকমতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়া ও অবহেলার অভিযোগ উঠে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার তদন্তে গিয়ে এসব দেখতে পাওয়ায় শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আরও কয়েকজন শিক্ষককে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

Back to top button