পার্বত্য চট্রগ্রাম

বান্দরবানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সমঝোতা স্বাক্ষর

সে দিন বেশি দুরে নয়, অল্পসময়ের মধ্য বান্দরবানে চালু হবে বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষায় অনগ্রর জেলা বান্দরবান। সারা দেশে যেখানে শিক্ষার হর ৬২% ধরা হয় সেখানে বান্দরবানে মাত্র ৩৯%। জেলায় সরকারী বেসরকারী ৬টি কলেজ থাকলেও কোন বিশ্ববিদ্যালয় নাই। তাই জেলার শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য জেলার বাহিরে ও বিদেশে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হয়।
পিছিয়ে বা ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থিদের বিষয়গুলো করে বান্দরবান শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বান্দরবানে অরাজনৈতিক এবং পাশ্চাত্যের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন।

Related image
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সীমানাবর্তী জেলা শহরে প্রবেশ পথে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে প্রায় ১৫০ একর পাহাড়ী ভূমিতে গড়ে তোলা হবে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ভেনাসে রির্সোটে বান্দরবান শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের সাথে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সমঝোতা স্বাক্ষর ও সম্মিলনী সভা করা হয়। বান্দরবান শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি এবং বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষে ক্য শৈ হ্লা চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেন।
সভায় প্রধান অতিথি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি বলেন, ১৯৭৬ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৫০ হাজার টাকায় বান্দরবানে সরকারী বেসরকারী ৬টি কলেজ স্থাপন করা হয়েছে।
বান্দরবানে একটিও বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় প্রতিবছর শত শত উচ্চ শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন জেলায় গিয়ে বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। আবার অর্থের অভাবে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ ঝরে পড়ছে।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে এবং দেশী বিদেশী গাছ লাগিয়ে গড়ে তোলা হবে বান্দরবান বিশ্ববিদ্যায়। পর্যটকদের এবং দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রোড মডেল হিসেবে পরিচিত হবে বিশ্ববিদ্যালটি। দেশের নামকরা শিক্ষকদের নিয়ে অরাজনৈতিক ভাবে পরিচালিত হবে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা’র সভপতিত্বে প্রবাসী ও কল্যান কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব সহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুণ অর রশিদ, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল আবছার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দিন আহম্মেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক আমীর মো. নসরউল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অনির্বাণ চাকমা, পৌরমেয়র ইসলাম বেবী, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষি পদ দাশ, চিং এয়ং ম্রো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে কেককাটা ও লগো উন্মোচন করেন বান্দরবান শিক্ষা ও উন্নয়ন ফাইন্ডেশনের পক্ষে চেয়ারম্যান পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।

Back to top button