আফগানিস্তানে ঢুকে সন্ত্রাসীদমন শুরু করেছে পাকিস্তান
আফগানিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে আক্রমণ শুরু করেছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের জঙ্গিদমন আক্রমণের ঘটনা এটাই প্রথম। পাকিস্তানের লাল শাহবাজ কালান্দারে আত্মঘাতী হামলায় ৮৮ জনের মৃত্যুর ঘটনার শােধ নিতেই আফগানিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে বােমা হামলা শুরু করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বক্তব্য, লাল শাহবাজ কালান্দারে হামলার সঙ্গে আফগানিস্তানের জঙ্গিদের একটি যোগসূত্র পাওয়া গেছে। তাই এই অভিযান। সিন্ধু প্রদেশে হামলার পরইপরেই পাকিস্তান দাবি করে, এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। আফগানিস্তানের জঙ্গিরাই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার পর কাবুল ইসলামাবাদ সম্পর্কের তিক্ততা অন্য মাত্রা নেবে বলেই ধারণা বিশ্লেষকদের।
পাকিস্তান সেনা সূত্রের বরাতে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, আফগান জঙ্গিঘাঁটিতে শুক্রবার রাত থেকেই বোমা হামলা শুরু করে পাকিস্তান। পাক-আফগান সীমান্তের কাছে জামাত-উল-আহরারের জঙ্গিঘাঁটিই মূল টার্গেট ছিল পাকিস্তানের।
পাক বোমায় আত্মঘাতী হামলার শীর্ষ প্রশিক্ষকসহ কয়েক ডজন জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনা সূত্র। আফগানিস্তানানের একটি সূত্রের বরাতে এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করে এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
আফগান সূত্র আরো জানিয়েছে, পাক-আফগান সীমান্তের মোহামেন্দ ও খাইবার এজেন্সিতে হামলায় জামাত-উল-আহরা এবং তেহরকি-ই-তালেবান পাকিস্তানের(টিপিপি)মূল ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে্ সেই সাথে নিহত হয়েছে জামাত-উল-আহরার কমান্ডার ওয়ালি। এছাড়া ১৫-২০ জন জঙ্গি সাথে নিহত হয়েছে কমান্ডার রেহমান বাবাও। আহত হয়েছে কয়েকশ।
নিহত রেহমান বাবা ও জামাত-উল-আহরার ডেপুটি চিফ আদিল বাচচা ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল টার্গেট। এই দুজনই মাজারে হালমার অন্যতম পরিকল্পনাকারী।
পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে আরো অভিযানের জন্য সেখানকার প্রায় ৪ হাজার অধিবাসীকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এরআগে আফগানিস্তানের সঙ্গে সীমান্তও বন্ধ করে দিয়েছে পাকিস্তান। আর পাক সেনাবাহিনীর হামলার পর প্রতিবাদ জানাতে কাবুলে নিয়োজিত পাকিস্তান রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে আফগানিস্তান।