স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে সূর্যোদয় থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায় বসন্ত পঞ্চমীর সরস্বতী পূজা করেছেন, তারপর বেলা তিনটে পর্যন্ত মুসলমানরা জুম্মার নামাজ আদায় করেছেন। তিনটা থেকে সূর্যাস্ত অবধি হিন্দুরা আবারও পূজা করা শুরু করেছেন।
তবে ওই সৌধের বাইরেই বেশি ভক্ত পূজা দিয়েছেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় হিন্দু নেতারা।
প্রায় হাজার বছরের পুরনো এই সৌধটি ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নিয়ন্ত্রণে।
তবে এটিকে হিন্দু সম্প্রদায় সরস্বতী দেবীর সব থেকে প্রাচীন মন্দির বলে দাবি করে, আর মুসলামনদের দাবি সেটি আসলে কামাল মাওলানার দরগা এবং মসজিদ।
দুই সম্প্রদায়ের মানুষই যাতে নিজের নিজের ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারেন, তার জন্য প্রতি মঙ্গলবার হিন্দুদের পূজা দিতে দেওয়া হয় আর মুসলমানদের শুক্রবারে নামাজ পড়তে দেওয়া হয়।
সপ্তাহের অন্যান্য দিন যে কেউই প্রবেশ করতে পারেন, তবে পূজা দেওয়া বা নামাজ পড়া যায় না এই ঐতিহাসিক সৌধে।
কিন্তু এবছর বসন্ত পঞ্চমী, অর্থাৎ সরস্বতী পূজা শুক্রবারে হওয়ায় কিছু হিন্দু সংগঠন দাবি তুলেছিল যে তাদের সারাদিনই পূজার অনুমতি দিতে হবে।
অন্যদিকে মুসলমানরা বলছিলেন তাদেরও জুম্মার নামাজ পড়তে দিতে হবে।
শুক্রবারে বসন্ত পঞ্চমীর দিন পড়ায় দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা অবশ্য এই প্রথম নয়।
এর আগে ২০০৩, ২০০৬ আর ২০১৩ সালেও শুক্রবারে বসন্ত পঞ্চমীর দিন পড়েছিল। তখনও একই ভাবে দুপুর পর্যন্ত হিন্দুদের আর তারপর দুঘণ্টা মুসলমানদের নামাজ পড়ার সময় দেওয়া হয়েছিল।
নামাজের পরে হিন্দুরা আবারও পূজার অনুমতি পেয়েছিলেন। এবারও সেই একই নিয়ম পালন করেছিল পুরাতত্ত্ব বিভাগ।
পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেজন্য পুরো সৌধটিকে একরকম দুর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছিল, মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ।- বিবিসি