আইন-আদালত

শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন : এখনও খুনিরা অজ্ঞাত

Image result for পুলিশ

পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করা হয়েছে হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে। নিহত মিজানের শরীরের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্টে। তবে কে বা কারা কি কারনে পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে গতকাল পর্যন্ত এর রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। পুলিশের আইজি একেএম শহিদুল হক বলেছেন, হাইওয়ে পুলিশের এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের মৃত্যু নিঃসন্দেহে হত্যাকান্ড। অন্যদিকে এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত। এদিকে গতকাল ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এএসপি মিজানুর রহমান হত্যার শিকার হয়েছেন। অপরাধীদের দ্রæতই গ্রেফতার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। গতকাল গুলশানের পুলিশ প্লাজা মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে আইজিপি বলেন, এ হত্যাকান্ড কেন ঘটানো হয়েছে বা কারা ঘটিয়েছে তা তদন্ত শেষে বলা যাবে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এ ঘটনার তদন্ত করছে।
সূত্র জানায়, এএসপি মিজানুর রহমান হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ জুলাই দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল হক এ দিন ধার্য করেন। ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, গতকাল এ মামলার এজাহার ও এফআইআর কপি আদালতে এলে বিচারক তা গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য দিন ধার্য করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে তার ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. প্রদীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, আমরা লাশের ভিসেরা সংরক্ষণ করেছি। নিহত মিজানের শরীরের অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহত মিজানুরের শরীরের চামড়ার নিচে জমাট রক্ত দেখা গেছে। গলায় দাগ রয়েছে। রূপনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ শহীদ আলম বলেন, এএসপি মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় তার ছোট ভাই মাসুম তালুকদার একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামি অজ্ঞাত। গত বুধবার ভোরে মহাসড়কে দায়িত্ব পালনের জন্য উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় নিজের ভাড়া বাড়ি থেকে রওনা হন মিজানুর রহমান। পরে বিরুলিয়া ব্রিজের পাশের একটি জঙ্গলে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। রূপনগর থানা পুলিশ সেটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মিজানুর রহমান টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার আনহলা গ্রামের বাকি তালুকদারের ছেলে। স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে তার। তিনি সাভার হাইওয়ে সার্কেল গাজীপুর রিজিউন (গাজীপুর) সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম জানিয়েছিলেন ভোরে ঝুটের কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর কে বা কারা মরদেহ জঙ্গলে ফেলে রেখে যায়। তবে কেন তাকে হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি। মিজানুর রহমানের ছোটভাই মাসুম তালুকদার জানান, তার ভাইয়ের প্রথম জানাজা হয় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে, দ্বিতীয় জানাজা হয় আশকোনায়। এরপর টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের ভুয়াপুরে তার তৃতীয় জানাজা সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।

Back to top button