কাতারে বিমান ও নৌবাহিনী মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে মিত্র দেশ তুরস্ক। কাতারে নিযুক্ত তুর্কি রাষ্ট্রদূত ফিকরেত ওজের গতকাল (বুধবার) একথা জানিয়েছেন।
কাতারে আগেই স্থল বাহিনী মোতায়েন করেছে তুরস্ক। তবে কবে নাগাদ বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হবে তা জানাতে অস্বীকার করেছেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত।
ফিকরেত ওজের জানান, ২০১৪ সালে সই হওয়া চুক্তি অনুসারে কাতারে স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সিরিয়ায় চলমান সামরিক অভিযান ‘অলিভ ব্রাঞ্চ’ সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান। তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, বিমান ও নৌবাহিনী মোতায়েনের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং কবে এসব সেনা মোতোয়েন করা হবে তা আলোচনার মাধ্যমে দু দেশ ঠিক করবে।
২০১৫ সালে তুরস্ক প্রথম কাতারে সেনা মোতায়েন করে। এরপর গত ৫ জুন কাতারের ওপর সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্মিলিতভাবে অবরোধ আরোপ করলে তুরস্ক দ্রুত দেশটিতে আরো সেনা পাঠায়। রাজধানী দোহার দক্ষিণে অবস্থিত তারিক বিন জিয়াদ ঘাঁটিতে তুরস্ক সেনা মোতায়েন করেছে এবং সেখানে একসঙ্গে পাঁচ হাজার সেনা অবস্থান করতে পারে। তবে ওই ঘাঁটিতে বর্তমানে কত সেনা অবস্থান করছে তুর্কি রাষ্ট্রদূত তা জানাতে চান নি।