সাদা ভাতের উপকার

পুষ্টিবিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সাদা ভাতের উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে জানানো হয়।

সহজে হজমযোগ্য: সংবেদনশীল পাকস্থলির জন্য সাদা ভাত অত্যন্ত উপকারী। কারণ বাদামি চালের তুলনায় এটি হজম করা সহজ। তাই পাকস্থলির উপর চাপ পড়ে কম। আবার বাদামি চালের ভাতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে যা অন্ত্রের উপর চাপ ফেলে। আর সাদা ভাতের চালে আঁশের পরিমাণ তুলনামূলক কম। তাই শরীরে আঁশের অভাব না থাকলে সাদা চাল বেছ নেওয়াই ভালো।

এছাড়াও সাদা ভাতে ভিটামিন বি’য়ের মাত্রাও থাকে বেশি।

‘গ্লুটেন’ সংবেদনশীলতা: ‘গ্লুটেন’ সইতে পারে না কিন্তু নিজেও জানে না- এমন লোকের সংখ্যা নেহাত কম নয়। যারা গ্লুটেন সইতে পারেন না তাদের জন্য আদর্শ এই সাদাভাত।

খনিজের উৎস: হজমে সাহায্য করার পাশাপাশি খনিজ উপাদানও যোগান দেয় সাদা ভাত। এতে থাকে দস্তা, যা প্রজনন ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আরও আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং কোষের কার্যকলাপ বাড়ায়। এছাড়াও এতে থাকা ‘অ্যামিনো অ্যাসিড’ যকৃতের চর্বি বিপাক প্রক্রিয়ায় খরচ করতে সাহায্য করে।

অপকারিতা: অতিরিক্ত খেলে সাদা ভাত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে, হতে পারে ডায়বেটিসের কারণ। তাই পরিমাণ মতো খেতে হবে। আর অন্যান্য সবজি, ডাল, মাছ ইত্যাদি সঙ্গে খেতে হবে। এতে পুরো খাবারটির পুষ্টিগুণের ভারসাম্য রক্ষা হবে।