আইন-আদালত

সরকারি অনুমোদনহীন সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের রুল

নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমিত ছাড়া সারাদেশে যত প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা রয়েছে সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আজ সোমবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমম্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালেয়র সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালেত রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শামছুন নাহার লাইজু ও নিলুফার ইয়াসমিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি এটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

আইনজীবী ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু অনুনোমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চলছে। অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া বিনামূল্যের বই ওইসব অনুনোমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে। এমনকি ময়মনসিংহের চায়ের দোকান থেকেও ওই বিনামূল্যের বই উদ্ধার হয়। পরে এই ঘটনায় ময়মনসিংহের আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা হয়।

তিনি বলেন, বিনামূল্যের বই বাজারে ছড়িয়ে পড়ার খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। এমনকি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে একটি আইনী নোটিশ পাঠায়। কিন্তু সেই নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

তিনি বলেন, সারাদেশে অনুমতি ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা) বন্ধে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে আজ চার সপ্তাহের রুল জারি করেছে আদালত।

Back to top button