কেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটেও সহায়তা করতে চায় ভারত?

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপনেও সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছে ভারতের সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদির সরকার। আজ বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে ভারতের ত্রিপুরা থেকে বাংলাদেশে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি এবং বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ রপ্তানি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোদি এ কথা বলে। এসময় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান শেখ হাসিনাও বক্তব্য রাখেন।
নরেন্দ্র মোদি বলে, আমরা দুই দেশ মিলে বিশ্বের সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করছি- প্রতিবেশীর সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক রাখতে হয়; আন্তঃনির্ভরশীল পৃথিবী বাস্তবায়নের পথ কোনটা হতে পারে।
ঠিক সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি হয়, তাহলে সীমান্তে প্রতিদিন বিএস এফ বাংলাদেশীদের হত্যা করছে কেন? কেন ভারত বাধের পর বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশকে মরুকরণের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? আসলে দাদা সেজে কি করে ছোটদের হক্ব কেড়ে নিতে হয় তারই দৃষ্টান্ত তৈরী করেছে ভারত।
বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান ও নেপালের মধ্যে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য বিবিআইএন চুক্তির কথা উল্লেখ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলে, “কিছুদিন আগে আমরা একযোগে রোড কানেক্টিভিটির কাজ শুরু করেছি। আজ আমরা বিদ্যুতের মাধ্যমে নতুন শক্তি তৈরি করছি। একবিংশ শতাব্দীর যে প্রয়োজন, সেই ডিজিটাল কানেক্টিভিটিও একযোগে করছি।
“তার মানে জল-স্থল-নভঃ সব জায়গায় বাংলাদেশ-ভারত একসঙ্গে চলছে আর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।”
ঠিক সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখালেখি হয়, “তার মানে পানি-ডাঙা-নভঃ সব জায়গায় ভারত বাংলাদেশের উপর দাদাগিরি করছে।”
মোদি বলে, “আমি আগেও বলেছি, মহাকাশেও আমাদের একসঙ্গে চলা উচিৎ। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট.. ভারতের একান্ত ইচ্ছা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে এক সঙ্গে চলতে চায়।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের জন্য বাটন ক্লিক করেন এবং মোদি ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের বাটন ক্লিক করেন।
প্রাথমিকভাবে ভারত উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার জন্য ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নেবে, ভবিষ্যতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যান্ডউইথ রপ্তানি বাড়তে পারে।
দেশের ব্যান্ডউইথ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসসিসিএল গত বছরের ডিসেম্বরে পরীক্ষামূলক ট্রান্সমিশন শুরু করে এবং সব কারিগরি ত্রুটি ঠিক করে নেয়। ১৬ নভেম্বর বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তের জিরো পয়েন্টে ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিএসসিসিএল ব্যান্ডউইথ রপ্তানির জন্য ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ভারত সঞ্জার নিগম লিমিটেডের (বিএসএনএল) সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করে।
চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বিএসএনএল ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য বাংলাদেশ থেকে ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আমদানি করবে, তবে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি বিশেষ করে ভারতীয় পক্ষের প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় ওই তারিখ পিছিয়ে যায়। ভারতে এই ব্যান্ডউইথ রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ বছরে ৯ দশমিক ৬ কোটি টাকা আয় করবে।
দেশের অধিকাংশ মানুষ এখনও ইন্টারনেট সুবিধা বঞ্চিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্লোগানধারী সরকার কেন এদেশের ব্যান্ডউইথ ভারতের কাছে বিক্রি করছে তার প্রতিবাদে অনলাইন বিশেষকরে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বেশ সরগরম রয়েছে।