দেশের সংবাদ

টেকনাফ থেকে ১৮ লাখ ২ হাজার ৮৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর দুইটি পয়েন্ট থেকে থেকে ১৮ লাখ ২ হাজার ৮৯৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আজ শুক্রবার ভোর রাতে ওইসব ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক আসাদুদ জামান চৌধুরী বলেছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান আসবে এমন খবর পেয়ে বিজিবির একটি দল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকেই নাফ নদীতে অবস্থান নেয়। পরে শুক্রবার ভোরে মিয়ানমারের দিক থেকে একটি নৌকা নাফ নদীতে আসে। বিজিবি সদস্যরা নৌকাটিকে থামার জন্য সংকেত দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানায়। এসময় ইয়াবা পাচারকারীরা নৌকাটি রেখে মিয়ানমারের দিকে সাতার কাটিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় নৌকাটিও জব্দ করা হয়।

বিজিবি অধিনায়ক দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে জানায়, তার দিকনির্দেশনায় ২টি টহলে বিভক্ত হয়ে অধিনায়কের নেতৃত্বে একটি টহল দল দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বন্দর এলাকায় এবং টেকনাফ বিওপির হাবিলদার মো: আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে সাবরাং ইউনিয়নের জিনা খালের মুখে নাফ নদীতে টহলরত থাকে। এ সময় দমদমিয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার নাফ নদী হতে ৫ লাখ ৮৯৭ পিস ইয়াবা এবং হাবিলদারের নেতৃত্বে জিনা খালের মুখ হতে ১৩ লাখ ২ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। যার বাজার মূল্য ৫৪ কোটি ৮ লাখ ৬৯ হাজার ১শ’ টাকা।

এ ছাড়া ভোরে দমদমিয়া থেকে ৫০ পিস ইয়াবাসহ মিয়ানমারের এক নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। ধৃত ব্যক্তি হচ্ছে নারির বিল এলাকার বুজুর মিয়ার ছেলে শেখ আহমদ (২৫)। তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছে বিজিবি।

সেন্টমার্টিন্সের ছেড়াদ্বীপ থেকে কোস্টগার্ডের ৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার
এদিকে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন থেকে ৩ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শুক্রবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ছেড়াদ্বীপ থেকে ওইসব উদ্ধার করা হয়।

কোস্টগার্ড সূত্র জানায়, ছেড়াদ্বীপে একদল পাচারকারী নৌপথে ইয়াবা পাচারের জন্য অপক্ষো করছিল এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে যায় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। ওইসময় কোস্টগার্ডেও উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বস্তা থেকে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার বেলা সোয়া ১২টায় কোস্টগার্ড টেকনাফের স্টেশন কমান্ডার লে. ফয়জুল ইসলাম মন্ডল সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

Back to top button