শিক্ষা

পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রেখে প্রশ্ন ফাঁস রোধ সম্ভব নয়: কোচিং সমিতি

পাবলিক পরীক্ষার সময় দেশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে এসব প্রতিষ্ঠানকে নীতিমালার আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ।

শুক্রবার কোচিং অ্যাসোসিয়েশনের জরুরি সভার পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

সমিতির দাবি, পাবলিক পরীক্ষার সময় দেশের কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রেখে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়।

কোচিং অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আরেফিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধের বিষয়টিতে আমরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এবং এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

“কোচিং অ্যাসোসিয়েশন বিশ্বাস করে, এভাবে কোচিং বন্ধ রেখে প্রশ্ন ফাঁস রোধ করা সম্ভব নয়। এসএসসি পরীক্ষার সময় কোচিং বন্ধ রাখা সত্ত্বেও সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায় যে সকল বিষয়ের প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছিল।”

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সামনে রেখে ২৯ মার্চ থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখবে সরকার।

এবারের এইচএসসির তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলবে ২ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত। আর ১৪ থেকে ২৩ মের মধ্যে হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশ্ন প্রণয়ন, মুদ্রণ, সংরক্ষণ, বিতরণ কোনো কাজের সঙ্গেই কোচিং সেন্টারের কোনো পরিচালক বা শিক্ষকের যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। ফলে কোচিং সেন্টারগুলোর প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত থাকা আদৌ সম্ভব নয়।

“বিগত এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে জানা যায় যারা প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত হিসেবে চিহ্নিত বা ধরা পড়েছে তারা শিক্ষার্থী, স্কুল শিক্ষক, বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে শুধু কোচিং সেন্টারকেই বন্ধ করা হল কেন?”

দেশি কোচিংগুলোকে বন্ধ রেখে বিদেশি কোচিংগুলো খোলা রাখা হয়েছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “যেমন ব্রিটিশ কাউন্সি, ব্রিটিশ কাউন্সিলের আদলে আমাদের দেশি অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যাদের কোচিং বন্ধ রেখে বৈষম্য তৈরি করা হচ্ছে। অপর দিকে ইংলিশ মিডিয়ামের কোচিংগুলো এসএসসি, এইচএসসি বা কোনো পরীক্ষার সময়ই বন্ধ থাকে না, তার কারণ কী?”

কোচিং সেন্টারগুলোকে নীতিমালার আওতায় আনলে সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা লাভবান হবে বলেও মনে করে কোচিং অ্যাসোসিয়েশন।

“তাই সরকারের প্রতি আমাদের আকুল আবেদন অনতিবিলম্বে কোচিং সেন্টার সাময়িক বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হোক এবং কোচিং সেন্টারগুলোকে অতিদ্রুত নির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় আনা হোক।”

কোচিং অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ’র আহ্বায়ক মো. ইমাদুল হকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্যরা সভায় উপস্থিত ছিল।

Back to top button