কৃষি

ঠাকুরগাঁওয়ের একই জমিতে চার ফসল

Related image

প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্পের মাধ্যমে একই জমিতে চারটি ফসল উৎপাদনে ভুমিকা রাখছে ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা। এ কারনে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে এখানকার কৃষকদের। আর কৃষি বিভাগ বলছেন, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে খাদ্য খাটতি পুরণে আরো বেশি সফলতা আসবে।

একই জমিতে চারটি ফসল উৎপাদনে কৃষককে উদ্ভুদ্ধ করতে ২০১৬ সালে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর মাধ্যমে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নে ৩০ হেক্টর জমিতে কাজ শুরু করে। এ পর্যন্ত তা বেড়ে দাড়িয়েছে প্রায় ৯০ হেক্টরে। প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষন, উঠান বৈঠক, বিনামুল্যে উন্নতমানের বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ করা হয়। আর কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক দিক নির্দেশনা পেয়ে সফলতা অর্জন করে এলাকার কৃষকরা।

এক সময় ফসল আবাদ করে জমি ফেলে রাখলেও এখন বছরে তারা একই জমিতে সরিষা, মুগডাল, আউশ ও আমন ধানসহ চারটি ফসল উৎপাদন করছেন। ফলে এখানকার কৃষকরা দিন দিন চার ফসলি জমি আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

রুহিয়া ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম, বাচ্চু, আলাউদ্দিনসহ অনেকে জানান, আমরা আগে বুঝতাম না কোন সময়, কোন ফসল আবাদ করতে হয়। আরডিআরএস এর মাধ্যমে আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে সঠিক সময় চাষাবাদ করায় এখন একই জমিতে চারটি ফসল উৎপাদন করে বেশ লাভবান হচ্ছি। সংস্থার পক্ষ থেকে বিনামুল্যে বীজ ও কীটনাশক দেয়ায় আমাদের অনেক উপকারে এসেছে। আমরা মনে করি সকল কৃষক যদি এভাবে ফসল আবাদ করে তাহলে কখনো লোকসান গুনতে হবে না।

এ বিষয়ে প্রকল্প কর্মসূচী ব্যবস্থাপক (মাঠ সমন্বয়) জিয়াউল হক জানান, বর্তমানে ঠাকুরগাঁও জেলার প্রায় ২শ হেক্টর জমিতে ৩ শতাধিক কৃষক তার জমিতে ৪ ফসল উৎপাদন করছে। দিন দিন কৃষকরা আরো আগ্রহী হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে সদস্য হয়েছে আরো প্রায় ২ হাজার কৃষক।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন জানান, অন্যান্য সংস্থাও যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে জেলার কৃষকরা উপকৃত হবে। তার কারন সরকারের পাশাপাশি বে-সরকারি উদ্যোগও অনেক কাজে আসে। আজকে প্রকল্পটির কারনে এ জেলার কৃষকরা অনেক এগিয়ে।

Back to top button