দেশের সংবাদ

আজ বিশ্ব হৃদরোগ দিবস

Image result for হৃদরোগ

বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আজ পালিত হয়েছে বিশ্ব হৃদরোগ দিবস। বিশ্বজুড়ে হৃদরোগ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশও ২০০০ সাল থেকে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

দিবসটির এ বছরের শ্লোগান হচ্ছে ‘মাই হার্ট ইওর হার্ট’। এ উপলক্ষে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা ও ফ্রি মেডিক্যাল চেকআপের আয়োজন করেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত এক দশকের ব্যবধানে অকাল মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদরোগ সপ্তম থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। ওয়ার্ল্ড হার্ট ফেডারেশন জানিয়েছে, প্রতিবছর প্রায় পৌনে দুই কোটি মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। এ সংখ্যা ২০৩০ সাল নাগাদ ২ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

হৃদরোগ থেকে বাঁচতে ধূমপান, তামাক ও চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার, নিয়মিত কায়িক পরিশ্রম এবং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি  বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিক জানান, ‘৪০ থেকে ৬০ বছরের ভেতরে ধূমপায়ী ব্যক্তিরা হৃদরোগে বেশী আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে থাকেন। যদি বেঁচেও থাকে তবে স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদের কাজের শক্তি থাকে না।

অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে হাসপাতালে শয্যাশায়ী হচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী মানুষ। বিপুল অর্থ ব্যয়ের পাশাপাশি বড় বড় সার্জারির মাধ্যমে সাময়িক মুক্তি মিললেও মৃত্যুঝুঁকি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাচ্ছেন না অনেকেই।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগী নিজামউদ্দীন জানান, প্রবাসে থেকে প্রতিদিন অন্তত ২০টি সিগারেটে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। হার্টে ৩টি ব্লক নিয়ে দেশে ফিরে এখন হাসপাতালে ভর্তি তিনি। বাইপাস সার্জারির পর এখন কিছুটা সুস্থ হলেও ঝুঁকিমুক্ত নয় তার জীবন।

এ দিকে বিগত বছরগুলোতে সব বয়সী হৃদরোগীর সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়লেও, বাড়েনি হৃদরোগের পর্যাপ্ত সেবা।

বাংলাদেশে গত ৭ বছরে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হৃদরোগীর সংখ্যা ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অথচ সে হারে বাড়েনি নার্স, চিকিৎসক, শয্যা সংখ্যাসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।

হৃদরোগের চিকিৎসা রাজধানীর বাইরে ছড়িয়ে দিতে পর্যাপ্ত সেবার পাশাপাশি সহায়ক জনশক্তি তৈরির তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।

তবে আশার কথা, হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকতে অনেকেই এখন খাদ্যাভাস বদলসহ সতর্ক ও পরিকল্পিত জীবনযাপন করছেন।

Back to top button