কৌশলে ভিক্ষা করতে রিয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বুধবার সকালে রিয়াদে অবতরণ করে তাকে বহনকারী যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল প্লেন এয়ারফোর্স ওয়ান।

সফরে ওবামা সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় দেশগুলোর জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) নেতাদের সঙ্গেও এক সম্মেলনে অংশ নেবে। সবার কাছে চলমান মার্কিন অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে আর্থিক সাহায্য চাইতেই ওবামার এই সফর।

সফরে ওবামার সঙ্গে রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশটন কুচার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

জিহাদিদের বিরুদ্ধে সাজানো লড়াই এবং সিরিয়া ও ইয়েমেনে মার্কিনি পোষ্যদের দ্বারা পরিচালিত যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টা জোরদারের পাশাপাশি রিয়াদের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে ওবামা এ সফর করছে। রিয়াদের উত্তেজনা ও ক্ষোভ প্রশমন না করলে মার্কিনি অর্থনৈতিক সংকট ঠেকানোর জন্য ওহাবী সাহায্য পাওয়া কঠিন হবে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কার্টার বলেছে, তারা এ অঞ্চলে ইরানের ‘অস্থিতিশীল কর্মকান্ড’ মোকাবেলায় সামরিক ও নৌ অভিযানের ক্ষেত্রে সহায়তা চাইবে।

এর মাধ্যমে কোনমতে ইরান ও সৌদি বিরোধকে নতুন করে চাঙ্গা করতে পারলে মার্কিনিদের দুই দিক থেকে ফায়দা লুটাটা সহজ হবে। আর ওহাবীদের কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারও হাতিয়ে নেয়া যাবে।

সপ্তাহের শেষ দিকে ওবামা যুক্তরাজ্য ও জার্মানী সফরে যাবে।

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করায় ওয়াশিংটন ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কে ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এ অঞ্চলে ইরানের বড় শত্রু সৌদি আরব। মুসলিম দুটি দেশের মধ্যে এই শত্রুতা যুগ যুগ ধরে ইহুদিরাই জিইয়ে রেখেছ। আবারো এই শত্রুতাকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান মার্কিনি অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের চেষ্টা করছে ওবামা।

এছাড়া নাইন ইলেভেন হামলার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকান নাগরিকদের সৌদি আরবের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেয়া সংক্রান্ত একটি বিল পাসের চিন্তাভাবনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এটাও সৌদি আরবকে ক্ষুব্ধ করেছে।

এর জন্য সৌদি আরবকে বুঝিয়ে কোন মতে শান্ত করার চেষ্টা করছে ওবামা।