জাতীয়

এখনও কাটছেনা বিএসএমএমইউ’র নিয়োগ জটিলতা !

নিউজ ডেস্ক:  বেশ কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর গত ২২ মার্চ বিএসএমএমইউ এর জন্য মেডিক্যাল অফিসার পদে এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর বিভিন্ন ভবনে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় মোট দুইশ’পদের বিপরীতে অংশ নেন আট হাজার ৫৫১ জন চিকিৎসক। ফলে গড়ে প্রতিটি পদের বিপরীতে অংশ নিয়েছেন ৪৩ জন। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, দুইশ’ পদের মধ্যে ১৮০ জন এমবিবিএস চিকিৎসক এবং ২০ জন বিডিএস চিকিৎসক নেওয়া হবে।

এ পরীক্ষার ফল দু’দিন পর ঘোষণার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। অবশেষে রবিবার (১২ মে) তা প্রকাশ করা হয়। এদিকে, সময়মতো ফল প্রকাশ না হওয়ায় গত দু’মাসে চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা কয়েক দফা ভিসির কার্যালয় ঘেরাও করেন। এসময় যেসব শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তারা। তবে, এতে রাজি না হয়ে মেধার ভিত্তিতে লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের নিয়োগের কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রাথমিক উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করা হলে আবারও আন্দোলনে নেমেছেন অনুত্তীর্ণরা। তারা এ পরীক্ষার ফল বাতিলের দাবি করছেন বিশ্ববিদ্যারয় প্রশাসনের কাছে। অন্যথায়, এ বিষয়ে রিট করার জন্য আদালতে যাওয়ারও পরিকল্পনা করছেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রভাবশালী শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেধার ভিত্তিতে একটা রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছে। মেডিক্যাল অফিসার এবং ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে দুইশ’ জন নেওয়ার কথা। প্রাথমিকভাবে ৭২৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এদের ভাইভা হবে। এর বাইরে যারা বাদ পড়েছে তাদের অনেকে একটু সংক্ষুব্ধ হয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘এরমধ্যে আবার একটা ব্যাপার ঘটেছে যে, যারা বঙ্গবন্ধুতে (বিএসএমএমইউ) টিকেছেন, তাদের অনেকেরই আবার বিসিএসও হয়ে গেছে। তাদের ডাবল হয়ে গেছে। এক্ষেত্রে তারা একটা চাকরি রাখবেন। একটা ছাড়বেন। এই সংখ্যাটাও কম না।’

বিষয়টি জানার জন্য বিএসএমএমইউ এর পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ বি এম মাহবুবুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।

বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, মেডিক্যাল পরীক্ষা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফায় রেসিডেন্স (আবাসিক) এবং ডিপ্লোমা কোর্সে এমবিবিএস পাস শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে তাদের কোর্স করছেন। পাশাপাশি সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পর লিখিত এবং ভাইভা পরীক্ষা শেষে নার্সরাও চাকরিতে যোগদান করেছেন।

Back to top button