অর্থ-বাণিজ্যশেয়ারবাজার

ব্লকে লেনদেন বেড়ে দ্বিগুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে ব্লকের লেনদেনে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ব্লকে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে ২টি। বিপরীতে লেনদেন বেড়েছে ২১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা।

গত সপ্তাহে ২৫টি প্রতিষ্ঠান ডিএসইর ব্লক মার্কেটের লেনদেনে অংশ নেয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৭৫১টি শেয়ার ৬৩ কোটি ৪০ লাখ ৮২ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইর ব্লকে ২৩টি প্রতিষ্ঠানের ৭৯ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৯টি শেয়ার ৪১ কোটি ৬৫ লাখ ৬ হাজার টাকায় লেনদেন হয়।

গত সপ্তাহে ব্লকে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সামিট পাওয়ার, বিএসআরএম লিমিটেড, গ্রামীণ ফোন, রেনেটা, ব্যাংক এশিয়া, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন, গ্রীণ ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, এপেক্স ফুটওয়্যার, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ইনটেক লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ, কপারটেক, ন্যাশনাল টিউবস, ওয়াটা কেমিক্যাল, রূপালী ইন্স্যুরেন্স, এসকে ট্রিমস, শাশা ডেনিমস, এইচআর টেক্সটাইল, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল পলিমার এবং এসএস স্টিল।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গত সপ্তাহে ব্লকে সবচেয়ে বেশি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে বিকন ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ২০ কোটি ৭২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পপুলার লাইফের ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।

এছাড়া বিএসআরএম লিমিটেডের ৬ কোটি ৯৩ হাজার টাকা, গ্রামীণ ফোনের ৫ কোটি ৫২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, রেনেটার ৩ কোটি ৬৯ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ব্যাংক এশিয়ার ৩ কোটি ৩৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ১ কোটি ৮৩ লাখ ৮ হাজার টাকা এবং গ্রীণ ডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১ কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর এককভাবে ১ কোটি টাকার কম লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে- এপেক্স ফুটওয়্যারের ৯৭ লাখ ৯৯ হাজার টাকা, স্ট্যান্ডার্ড সিরামিকের ৪৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা, ইনটেকের ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ঢাকা ব্যাংকের ২৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা, সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ১৯ লাখ টাকা, শেফার্ডের ১১ লাখ ৯২ হাজার টাকা এবং কপারটেকের ১১ লাখ ১৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

এককভাবে ১০ লাখ টাকার কম লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- ন্যাশনাল টিউবসের ৭ লাখ ১৯ হাজার টাকা, ওয়াটা কেমিক্যালের ৭ লাখ ৬ হাজার টাকা, রূপালী ইন্স্যুরেন্সের ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা, এসকে ট্রিমসের ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, শাশা ডেনিমসের ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা, এইচআর টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ন্যাশনাল পলিমারের ৫ লাখ ৩৯ হাজার টাকা, এসএস স্টিলের ৫ লাখ ১১ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।

Back to top button