জাতীয়তথ্যপ্রযুক্তিবিজ্ঞান-প্রযুক্তিশিক্ষা

এবার নজরদারিতে আসছে শিক্ষকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট

নিউজ ডেস্ক : আগামী বছর থেকে শিক্ষকদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট (আইডি) নিয়মিত মনিটরিং করে বিধি পরিপন্থি কনটেন্টের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এছাড়াও আগামী বছর থেকে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ এবং সংশ্লিষ্টদের চিঠি পাঠিয়েছে মাউশি। চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে মাধ্যমিক শিক্ষার আঞ্চলিক পরিচালক, অধ্যক্ষদের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে,অধ্যক্ষরা তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সব কর্মকর্তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। কোনো শিক্ষকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বিধির ব্যত্যয় ঘটালে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে তদন্ত করে এর প্রমাণকসহ আঞ্চলিক অফিসের মাধ্যমে মাউশি অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিশ্চিতকরণের নির্দেশনায় বলা হয়, আঞ্চলিক পরিচালক এবং অধ্যক্ষরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ছয় মাসের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত এবং অননুমোদিত অনুপস্থিতি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এ পর্যায়ে অধ্যক্ষরা বিভাগীয় প্রধানদের মাধ্যমে নিয়মিত হাজিরা সংরক্ষণ করবেন। যদি হাজিরা নিশ্চিত না করা যায়, তাহলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল হাজিরা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করবেন আঞ্চলিক পরিচালক এবং অধ্যক্ষরা।

জানা গেছে, সারাদেশে কয়েক ডজন বেসরকারি শিক্ষক তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ থেকে সরকারবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এ ছাড়া কয়েকটি বেসরকারি স্কুল ও কলেজের এমপিওভুক্ত এবং খণ্ডকালীন শিক্ষকরাও ফেসবুক পেজ ও অনলাইনে সরকার বিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত। ফেসবুক পেজ খুলে শিক্ষক নেটওয়ার্ক তৈরি করে নোট-গাইড বই বিক্রির অভিযোগও পাওয়া গেছে।

গত এক বছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, এনসিটিবি ও মাদরাসা অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে ফেসবুকে উসকানিমূলক পোস্টের কারণে। সরকারি হাইস্কুলের কয়েকজন শিক্ষককেও শাস্তি দেয়া হয়েছে গত দুই বছরে।

জানা যায়, গুণগত শিক্ষা বাস্তবায়নে দেশের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক, ছাত্র এবং কর্মকর্তাদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পরিপালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে সম্প্রতি ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘মানসম্মত শিক্ষা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের আলোকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Back to top button