অর্থ-বাণিজ্য

প্রতিদিনই দেশে ঢুকছে হাজার হাজার টন পেঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশীয় পেঁয়াজ ওঠার মৌসুমেও বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ নেই। হাজার হাজার টন পেঁয়াজ প্রতিদিন দেশে ঢুকছে। এদিকে উচ্চমূল্যের কারণে ক্রেতারাও পেঁয়াজের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছেন। এতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ হয়ে হঠাৎ করে বড় ধরণের দরপতনের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এই দরপতনে মজুদদারীদের ক্ষতির পাশাপাশি বড় ধরণের ক্ষতির মুখোমুখি হবেন দেশীয় চাষীরা।

এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আরো ৪ হাজার ১৫৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে দেশে এসেছে। এসব পেঁয়াজ চীন, মিশর, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা হয়েছে। শুক্রবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দেশে ৪ হাজার ১৫৯ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে টেকনাফ হয়ে দেশে এসেছে ১ হাজার ২২৭ টন এবং চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর হয়ে এসেছে ২ হাজার ৯৩২ টন পেঁয়াজ।

৪ হাজার টন পেঁয়াজের মধ্যে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ২২৭ টন, চীন থেকে ৩৮৪ টন, মিসর থেকে ৮৪ টন এবং তুরস্ক থেকে ২ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব পেঁয়াজ আমদানি করেছে বলে জানা গেছে।

দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশে পেঁয়াজ আমদানি, সরবরাহসহ সার্বিক পরিস্থিতি সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে মনিটরিং করছে। একই সঙ্গে ট্রাকযোগে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বরের শেষদিকে হঠাৎ করে বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়। পেঁয়াজের দাম হয় আকাশচুম্বী। ৩০ টাকার পেঁয়াজ লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ২৫০ টাকার ওপরে ওঠে। পেঁয়াজ সংকটের অজুহাতে বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।

Back to top button